লেখক গবেষক আবীর আহাদের নেতৃত্বাধীন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র দাবি আমলে নিয়ে সরকার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে এক সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে সামরিক বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুয়াদের চিহ্নিতকরণের কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। অচিরেই তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। অপরদিকে বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সরকারের এনএসআই এসবি ও ডিজিএফআই সংস্থা অত্যন্ত গোপনে গোপনে গ্রাম পর্যায়ে বিশেষ তদন্ত করে চলেছে। তিন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন সমন্বয় করে বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করার কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
লেখক গবেষক আবীর আহাদের বিভিন্ন সময় দেয়া বক্তব্য ও লেখনীর সূত্র ধরে সরকার এই প্রথমবারের মতো এ-মত আমলে নিয়েছে যে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা অকারণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও জনগণের করের অর্থে ভাগ বসিয়ে যে অপরাধ করে চলেছে, তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিশেবে আওয়ামী লীগ সরকার তথা বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপরও দায় এসে পড়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধু-কন্যা এসবের কিছুই জানতেন না। আবীর আহাদের ধারাবাহিক প্রয়াসের ফলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে পর্দার অন্তরালে চলছে সামরিক ও বেসামরিক সঠিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের কাজটি।
শেষ কথা : শেখ হাসিনার হাতেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পতন অনিবার্য।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply