জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে নিজের দুটি স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীকে আধঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রেখেছেন অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। এমনকি তার নিরাপত্তাকর্মী সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করেন। তল্লাশি সাপেক্ষে কেউ কেউ বের হতে চাইলে ‘চোর’ও বলে ওঠেন সেই নিরাপত্তাকর্মী। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। গতকাল প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে প্রায় অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের সামনে চুরি হয় শমী কায়সারের স্মার্টফোন দুটি। ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধনকালে বক্তব্য দেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনো সচল পাচ্ছিলেন তিনি।
শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শমীর নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। তখন কেউ কেউ তল্লাশি সাপেক্ষে বের হতে চাইলে সেই নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ সময় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডাও হয় সাংবাদিকদের। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘ভুলবোঝাবুঝি’ হয়েছে, যা অনিচ্ছাকৃত। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে সেখানে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান অতিথি আসার আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে ফেলেন আয়োজকরা।
এদিকে ফোন চুরি এবং এজন্য সাংবাদিকদের সন্দেহ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে আসা সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply