গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা যদি গুণীজনদের খুঁজে বের করি, তাদেরকে সম্মান দেখাই তাহলে জাতিকেই সম্মান দেখানো হয় এবং জাতিকে সমৃদ্ধ করে। গুণীজনদের সম্মান দিলে, তাদের কাজের স্বীকৃতি পেলে ভাল থেকে আরো ভাল করে এবং অন্যন্যারাও উৎসাহবোধ করে।
আজ রোববার (১৯ মে) বিকালে গোপালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর হল রুমে আয়োজিত শিল্পকলা সম্মাননা পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এদেশে চিন্তাবিদ, সাধক, দার্শনিকের জন্ম হয়েছে। গায়ক, কবি হয়েছে, লোক সাহিত্যের জায়গা তৈরী জয়েছে। কারন মানুষের সুযোগ সুবিধা ছিল। নিজের ছোট বেলা দিয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট বেলা বিচার করতে গেলে সেটা ভুল হবে। কারন সন্তানরা হল সময়ের সন্তান। যে কারনে নিজের সময় দিয়ে সন্তানদের সময় বিচার করা ঠিক হবে না।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধরন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদি, জেলা কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহ ও সম্মাননাপ্রাপ্ত সৃজনশীল সংগঠক মোঃ নাজুমল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
পরে ২০১৮ ও ১৯ বর্ষের ১০জন গুণী শিল্পীর হাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক, সনদপত্র তুলে ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিবৃন্দ। ২০১৮ সালের ৫জন গুণী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা হলেন, সৃজনশীল সংগঠক গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপু, কন্ঠ সংগীতে দুলাল দাস, সৃজনশীল সাংস্কৃতি গবেষকে রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, আবৃত্তিতে মাহবুবুর রহমান ও সৃজনশীল আঞ্চলিক সংগঠন ত্রিবেণী গণ সাংস্কৃতিক সংস্থা।
২০১৯ সালের ৫জন গুণী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা হলেন, সৃজনশীল সংগঠক মোঃ নাজুমল ইসলাম, কন্ঠ সংগীতে শাহনাজ রেজা এ্যানী, সৃজনশীল সাংস্কৃতি গবেষক গাজী লতিফ, আবৃত্তিতে ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী ও নাট্যকলায় মাসুম হাসান।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply