“সাইনবোর্ড আর অসঙ্গতির মেহেরপুর ”
কালের চাকা ডেক্স:
# সর্বপ্রথম মেহেরপুর কে বাল্যবিবাহমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হয়।।কিন্তু ঘোষণার ২ বছর পার হয়ে গেলেও হরহামেশাই রাতের আধারে ঘটে চলেছে বাল্যবিবাহ নামক সামাজিক অভিশাপ।এখানকার প্রশাসন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে বাল্যবিবাহ যজ্ঞ।।
প্রশ্নটা হলো– বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।কিন্তু তাদের নাকের ডগায় ঘটছে এই ব্যাধি।তাহলে কেনো সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ঘোষণা করা হলো বাল্যবিবাহমুক্ত মেহেরপুর জেলা???
# শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষনা করা হয় গাংনী উপজেলা কে।। স্লোগানে বলা হয় “” শেখ হাসিনার উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ “”। কিন্তু গাংনী উপজেলার বহু পুরনো ঘরে আজো পৌছায়নি বৈদ্যুতিক মিটার নামক সোনার হরিণ।। তবে এই সোনার হরিণ গেলো কই???
# মেহেরপুর জেলার প্রতিটি প্রবেশমুখে টাঙানো রয়েছে ” ভিক্ষুকমুক্ত মেহেরপুর জেলা তে স্বাগতম “। ও খোদা!!জেলায় ঢুকেই দেখা যায় বয়স্ক ফকিরের অভাব নেই।।হাত পেতেই রয়েছে তারা!!
তবে ” জেলা প্রশাসন কাদের পুনর্বাসন করলো??””…
পুনর্বাসন যদি করেই তবে এত ভিক্ষুক আসলো কোথা থেকে??? এই জবাব কে দেবে???
#১৯৭১ এ ফরিদপুর ও পারেনি অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের জায়গা দিতে।।জায়গা দিয়েছিলো মেহেরপুর।।।
কিন্তু আম আটি সবই পেল ফরিদপুর,,, আর চেয়ে চেয়ে দেখে মেহেরপুর…..
যখন পত্রিকায় দেখি সরকার এখানে উন্নয়ন করছে,,সেখানে উন্নয়ন করছে!!! তখন মনে প্রশ্ন জাগে — যে সরকারের জন্ম দিল মেহেরপুর,,,,স্বাধীনতার পর সবচেয়ে অবহেলিত হলো সে ই।।। তবে কি “” মায়ের চেয়ে মাসির দরদ ই বেশি””??
মেহেরপুর বাসীর প্রাণের দাবি—-
১.মুজিবনগরে মিনি পার্লামেন্ট স্থাপন,,
২.স্থলবন্দর নির্মাণ,,
৩.একটি করে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী,,,
৪.মুজিবনগরের আধুনিকায়ন,,
৫.চিৎলা ফার্মকে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে রুপ দেওয়া,,
৬.বামুন্দী কে উপজেলা ঘোষণা করা।।
২০১১ সালে মুজিবনগর এ এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছিলেন।।তার অঙ্গীকারগুলো শুধু ভাষণেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে!! এর দায় কার?? মেহেরপুরবাসী জানতে চাই।।।
লেখক : রেজওয়ান আল এহসান গালিব
জেলা প্রতিনিধি, মেহেরপুর।
দৈনিক কালের চাকা।।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply