“বোবার কোন শত্রু নাই”
লিয়াকত হোসেন লিটন
সাহিত্য সম্পাদক
দৈনিক কালের চাকা
শুনতে পাচ্ছো তুমি?
হ্যা তোমাকেই বলছি…
চোখ আছে দেখে যাও! কান আছে শুনে যাও!! ঠোঁট মুখ বন্ধ করে বোবা হয়ে যাও!!!
প্রতিবাদ করেছো কি মরছো….
তুমিই হবা বড় টার্গেটের শত্রু!!!কি দরকার প্রতিবাদ /সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলার?আরে বাবা এ সমাজে বড় বড় রতি,মহারতিরা রয়েছেতো? আইন আছে!প্রশাসন আছে!!সমাজ ব্যবস্হা আছে?
তারা করবে এর সমাধান? তুমি বাপু কেন সমাজের, অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলো?কিইবা করতে পারো তুমি? বড় জোর চিল্লাচিল্লি করে নিজের গলাটার বারোটা বাজাবে! কিছু লোকে হয়ত বলবে ছেলেটা ঠিকই বলছে! আবার বেশির ভাগ লোকে বলবে,আরে ছেলেটা পাগল নাকি? কত দেখলাম,সব ঐ চেয়ারওয়ালারাই করে।
আমরা সাধারণ মানুষ শুধু শুধু হাপিত্যেশ করি।আরও কতকি!
অন্যায়,অপরাধ করবে ওরা…সাধারণ কিছু মানুষের আবেগকে পুজি করে।সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবে? পারবে? না পারবে না!
প্রতিবাদের ঝান্ডা নিয়ে মিছিল মিটিং আর মুখের উপর সত্যিটা বললেই—-
ধরো ওকে,চৌদ্দশিখে ভরে দাও।একটা মামলা সাজাও,খেয়াল রেখো যেন ৫৪ ধারায় না হয়;;;
আর প্রশাসন ও জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর….
দিয়ে দাও মাদক মামলায়…
জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর….
আর সাধারণের প্রতিবাদের ভাষাটাও ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।
ঐ একজন সাধারণ প্রতিবাদীকে যখন টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়; বাকী সাধারণ ও ভয়ে দৌড়ে পালায়!!!
তখন রাম রাজত্ব কায়েম হয় মসনদের অট্রোহাসির চেয়ারওয়ালার।
সাধারণরা তখন যদি মুষ্টি বদ্ধ হাত একত্রে করি, তাহলে কতজনকে প্রতিবাদ করা থেকে ওরা বিরত রাখবে।কতজনকে ধারা…দেখাবে ওরা।
এক ভাই জেলে,আরেক ভাই হসপিটালে বারান্দায় শুয়ে কাতরায়,আরেক ভাই পালিয়ে বেড়ায় ফেরারী হয়ে….
পরিবারের আহার জোটেনা! দিন শেষে আবার ভয়,কখন জানি হানা দেয় তথাকথিত মসনদের ইশারার.. ভেজালকারী,অসাধু ব্যবসায়ী,দালালচক্র,মাদক ও চোরা কারবারি!!! ক্ষমতার অপব্যবহার কারীরা….
তাইত বলি কি দরকার স্বাদে স্বাদে শত্রু হওয়ার,ওরাত তোমাকে কিছু বলছে না?
দেশ ও সমাজের ক্ষতি হলে তোমার কি?
মুখে কসটেপ মেরে, হাতে চুড়ি পরে ঘরের কোনে চুপটি মেরে বসে থাকো।
কি দরকার তোমার ঘর থেকে বেরোনোর?
তাইত জ্ঞানী, গুনী মান্যি লোকেরা বলে থাকেন…
মনের দুঃখে বনে গেলাম,কেমনে মনরে বোঝাই… যা হবার তা হয়েই যাচ্ছে, আমার মধ্যে আমি নাই…
নিন্দিত সব নন্দিত আজ,কপাল পুড়ে হলো ছাই…
চুপটি করে থাকোরে ভাই—
বোবার কোন শত্রু নাই।
সাধারণ মানুষের যেদিন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে,,,,প্রতিবাদে সেদিন কোন ভাষা যোগ হবেনা…
শুধু ভিট নাড়াবেনা সেদিন,, পুরা পৃথিবীর জঞ্জাল কে ধুয়ে মুছে আর দম্ভ,অহংকারের উঁচু তলার ভবন চুর্ণ বিচূর্ণ করে দিবে।
মাটি নড়চড়ে উঠলে /সামান্য ভুমিকম্পের আঘাতে ভিত সন্ত্রস্ত তুমি,,,হার্ট এ্যাটাকে দম বন্ধ হয়ে শেষ….
মনে রাখি আমরা, মনে বাঁধি আমরা…
আমরা সাধারণ মানুষ “মাটি”।
একদিন মাটির মানুষের ভুমিকম্পে পৃথিবীর জরা জঞ্জাল বিলিন হবে।
আমরা পাব নতুন পৃথিবী, সপ্ন ও আশায় বুক বাঁধি….
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply