আজ একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হবিগঞ্জ থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহিম জুয়েল ও আনোয়ার হোসেন লুতু সংগঠনের চেয়ারম্যান লেখক গবেষক আবীর আহাদের সাথে দেখা করেন এবং তাঁরা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার উদ্দেশ্য লক্ষ্য ও কর্মপ্রয়াসের প্রতি আস্থা স্থাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনে যোগদান করেন । এ-সময় তারা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বৃহত্তর সিলেটের সব জেলা-উপজেলায় শাখা কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন । বীর মুক্তিযোদ্ধাদ্বয়ের যোগদানের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাশেম আলী, মহাসচিব আশালতা বৈদ্য ও প্রচার সচিব খন্দকার জেড ইসলাম মণি ।
একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার চেয়ারম্যান লেখক গবেষক আবীর আহাদ এক ব্যাখ্যায় বলেন :
এক. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন বা আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবো না— দেশের সব প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাই মর্যাদাবান হবেন ।
দুই. মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়ারা অপসারিত হলে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন বা আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় কলঙ্ক থেকে মুক্তিলাভ করবো না—-দেশের সব বীর মুক্তিযোদ্ধাই কলঙ্কমুক্ত হবেন ।
দাবি দু’টি আজ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনা সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে । ঐতিহাসিক জাতীয় মর্যাদা ও কলঙ্কমুক্ত উন্নতশিরে মহিমান্বিত হওয়ার এ-প্রয়াসে আপনিও সামিল হোন । মনে রাখবেন, আপনার আমার ও সকলের জীবনপ্রদীপশিখা ক্রমান্বয়ে ক্ষীণ হয়ে আসছে ।
অতএব, মনের সব জড়তা ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে চলে আসুন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াসকর্মে । কারণ আপনিও একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা-আপনিও কিন্তু চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাসগত একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ! একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াস থেকে আপনি কেনো দূরে থাকবেন ?
আগামী ২৪ জুন বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার এক মতবিনিময় সভায় দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেয়া হবে । প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আমন্ত্রিত।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply