মো; হাচিবুর রহমান ,কালিয়া (নড়াইল)প্রতিনিধি :-নড়াইলের কালিয়া উপজেলার একটি গ্রামের নাম চরসিংগাতি। উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের এ গ্রামটিতে বসবাস ১৪৫ টি পরিবারের। কিন্তু এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনার পর থেকে মামলা, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনায় আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে ঐ গ্রামটি। নামমাত্র টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালি একটি মহল মামলার ভয়ভিতি দেখিয়ে লিখে নিচ্ছে জমি।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, গেল বছর ১লা জুলাই ঐ গ্রামে নিহত হয় শরিফ ব্রিকস এর মালিক গোপালগঞ্জের ব্যবসায়ি টিটু শরিফ। পরদিন ২ জুলাই টিটু শরীফের ছোট ভাই আশিকুজ্জামান শরীফ বাদি হয়ে নড়াগাতি থানায় ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। ঐ মামলার পর থেতে ঐ গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, লুৎপাট এর অভিযোগ ওঠে ঐ শরিফ ব্রিকস এর লোকজনের বিরুদ্ধে। এছাড়া কখনো নামমাত্র মূল্যে আবার কখনো মামলার আসামি করার ভয়ভিতি দেখিয়ে দলিল করে নিচ্ছে ঐ গ্রামের সাধারন মানুষের সর্বশেষ আশ্রয় স্থল বাস্তভিটাটুকু। প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা আসমা বেগম জানান, তার স্বামী সন্তান কেউ ঐ হত্যা মামলার আসামী নয়, তবুও বাড়ি থাকতে পারছে না তারা, বাড়ি এলেই আসামী করার ভয়ভিতি দেখাচ্ছে এবং জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সমস্ত সম্পত্তি দলিল করে নিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, শরীফ ব্রিকস এর লোক তাকে বলেছে তুমি জমি দলিল কওে দেও, না দিলে মামলার আসামি হও। এক ছেলেকে আসামি করছে এখন অন্য ছেলেকে তো বাচাতে হবে, ছেলে না থাকলে জমি দিয়ে কিকরব।
মোল্লাহাট উপজেলার সিঙ্গাতি গ্রামের বাসিন্দা কুটি মিয়া চৌধুরীর পুত্র কওসার চৌধুরী এর নেতৃত্বে ঐ গ্রামের দুলাল চৌধুরী, ইমাদ চেধৈুরী, জাবের চৌধুরী ভুক্তভুগী ঐ গ্রামের বাসিন্দাদের উপ অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে।
তবে ঐ সকল অভিযোগ অস্বিকার করেছেন শরিফ ব্রিকস এর মলিক আশিকুজ্জামান শরিফ। তিনি বলেন, আমার দলিল করা জমি তো আমি দখল নিবই। শরীফ ব্রিকস এর চরসিংগাতি গ্রামে কতটুকু জমি আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের ঐ গ্রামে দুই হাজার বিঘার বেশি জমি রয়েছে জার পুরা জমি ই তাদের দলিল মূলে ক্রয়ক্রিত সম্পত্তি।
পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা মোকাররম হোসেন হিরু বলেন, চরসিংগাতি গ্রামের মানুষের উপর হামলা, ভাংচুর ও জেরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তিনি শুনেছেন তবে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর কবির বলেন, ঐ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন খুব তাড়াতাড়ি আদালতে পেষ করা হবে। তবে ঐ গ্রামের হামলা, ভাংচুর ও জেরপূর্বক জমি দখলের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া জায় নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply