রিয়াজ মুস্তাফিজ ও শাহারিয়া নাজিম শাওন:- আলফাডাঙ্গা হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সবকিছু চলছে ৩১ শয্যা হাসপাতালের। কার্যক্রমে,সরঞ্জামাদিতে সব কিছুতে ৩১ শয্যার হাসপাতাল এটি।
তারপরেও ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্য যা দরকার তার কিছুই নেই এখানে। ডাক্তার নেই। আয়া নেই। ওয়ার্ড বয় নেই। সুইপার নেই। ল্যাব নেই। এক্সরে নেই। ফার্মাসিস্ট নেই। ডেন্টাল ডাক্তার নেই।
৩১ শয্যার হাসপাতালে ডাক্তার থাকে ৯ জন কিন্তু এখানে ডাক্তার আছে ৫ জন,২ জন কর্মরত আর বাকি ৩ জন প্রেষনে,২ জন ডাক্তার হলেন ডা.নিয়ামত হোসেন ও ডা. মো. নাজমুল হাসান। আর বাকি ৩ জনের একজন ফরিদপুর সদর হাসপাতালে আছেন,গাজীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন আছেন এবং আরেকজন আছেন কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে।
৩ জন আয়া থাকার কথা আছে ১ জন। ওয়ার্ড বয় থাকার কথা ৩ জন আছে ১ জন। সুইপার ৫ জন থাকার কথা আছে ৩ জন,১ জন কর্মরত আর বাকি ২ জন প্রেষনে।হাসপাতালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো ল্যাব,কিন্তু গত ৩ বছর ধরে ল্যাব বন্ধ। এক্সরে মেশিন থাকলেও গত ৩ মাস আগে বিকল হয়ে পড়ে,মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও সমাধান পাওয়া যায়নি।ফার্মাসিস্ট না থাকার কারনে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ফ্রি ওষুধ ঠিক মতো পাচ্ছে না জনগণ। হারবাল এসিসট্যান্ট দিয়ে চলছে ফার্মাসিস্ট এর কাজ।পরিসংখ্যান এর জায়গা পরিসংখ্যান বীদ নেই। আলফাডাঙ্গা হাসপাতালের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র একটি কামারগ্রামে অবস্থিত,সেখানে কোন লোকবল না থাকায় তা সম্পূর্ণ বন্ধ।মন্ত্রণালয়ের ডিজি থেকে উদাসীনতা, নেই কোন নিয়োগ।
উপরের তথ্য গুলো পাওয়া গেল আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর প্রধান সহকারী আক্তারউজ্জামান এর কাছ থেকে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মো রেজাউল করিম সাহেব ঢাকায় থাকায় তাকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে সে সরাসরি কথা বলবে বলে জানান এ সংকটের বিষয়ে।
আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে ৩ উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। তাদের সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে মাত্র ২ জন চিকিৎসক।
গাইনি ডাক্তার না থাকার ফলে হাসপাতালে কোন ডেলিভারি বা সিজার হয় না এই সুবাদে হাসপাতালের আশে পাশে দিয়ে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক, যেখানে গরীব মানুষের ফ্রি ডেলিভারি হওয়ার কথা সেখানে তাদের ইমার্জেনসি কারনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা বাসী দ্রুত এই সমস্যার প্রতিকার চায়।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply