সে জানেনা ধর্ষন কি? শুধু জানে তার সহপাঠিকে ধর্ষন করে মেরে ফেলা হয়েছে,সেজন্যই সে প্লেকার্ড হাতে বিচার চেয়ে মানববন্ধনে হাজির হয়েছে!!!
একজন বাবা ও মা’কে যদি এই শিশুটি প্রশ্ন করে বাবা ও মা-
ধর্ষন কি? কিভাবে হয়? ধর্ষন কেমন?
কি জবাব দিবে বাবা-মা?
কি বিশ্লেষণে বুঝাবে তার ছোট্ট শিশুটিকে?
কি এমন ব্যখা আছে যে বুঝাবে তার আদরের সোনামনিকে?
মা,বাবারা ও গোটা জাতি আজ লজ্জিত!!!
কারন এই শিশুটিকে কোন প্রকারেই বুঝানো সম্ভব নয়,ধর্ষন কি!!!
ছোট্ট কোমলমতি ফুটফুটে বাবা,মায়ের আদর স্নেহমাখা শিশুটিকে যখন ঐ পুরুষ নামের কলঙ্ক, নরপিশাচ ধর্ষণ করে,ঠোঁঠ কামড়ে রক্তাক্ত করে,যৌনাঙ্গ ক্ষত বিক্ষত করে দেয়-
খায়েশ শেষে হত্যা করে…
ছোট্ট শিশুটির আত্মা তখন আমাদের সকল বাবা মাকে বলে যায়,আজ আমি চলে গেলাম এই পৃথিবীর আলো বাতাশ ছেড়ে-
কাল তোমার মেয়েও আসবে….আমার ধর্ষিত আত্মার সাথে শামিল হতে,,,আমাদের ধর্ষিত আত্মার মিছিলে….
না আর নয়,দাবী একটাই,প্রকাশ্যে ধর্ষকের বিচার করা হোক।
তথাকথিত বন্ধুক যুদ্ধ আর নিহত নয়,রাষ্ট্রের দায় রয়েছে।এ দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারেনা। শিশুটির নামটি হারিয়ে যায়,আমরা তার নামটি ভুলে যাই,একটি নতুন নাম হয় তার ধর্ষিতা!!! ধর্ষিতার আত্মা সকল বাবা মায়ের কানে চিৎকার করে বলে যায়!প্রকাশ্যে দিবালোকে ফাঁসি কার্যকর করা হোক ধর্ষকের।
আমরা বাবা,মা সব সময়ই ছোট্ট সোনামনির দিকে খেয়াল রাখব।ওর দিকে যেন কোন নরপিশাচের চোখ না পড়ে।
খেয়াল রাখব কৈশর পেরোনো ও বয়ঃসন্ধি কালের ছেলে মেয়েদের দিকে,কোথায় যায়? কি করে? কার সাথে মিশে?
বাবা ও মা হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ধর্ষক মানুষরুপি এক অমানুষ।সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক জনতার সামনে,দেখবে সারাদেশ,সারা বিশ্ব।সচেতন হবে সবাই।
নতুন নামে অঙ্কিত ধর্ষিতা, ক্ষত বিক্ষত শরীরে অশরীরী ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়াবে চারিদিকে,, আর মানুষরপি অমানুষকে শিখিয়ে দিবে,পড়িয়ে দিবে,কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলবে-
এই নরপিশাচ ধর্ষক দেখেছিস,,, ওকে জনতার সম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে-
সাবধান! সাবধান!! সাবধান!!!
ভুলেও ওদিকে পা বাড়াবেনা….
শিশুটিকে ডাকতাম আমরা যে নামে মুক্তি,স্বাধীন,সোনামনি,খুকি কিংবা খুকুমনি, সোনাম্মু বলে!
কিন্তু স্বাধীন দেশে তার স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা হয়না!
কেড়ে নেয় পুরুষ নামের কলঙ্ক এক নরপিশাচ তার বেঁচে থাকার স্বাদ,চিরতরে মুছে দেয় তার বাবা মায়ের দেওয়া নাম,রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত আঁচড়ের শরীর নিয়ে,ঐ টুকু কচিসোনা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায় না ফেরার দেশে-
নতুন নামে” ধর্ষিতা” হয়ে।
ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন আমাকে হে রাষ্ট্র –
এভাবে আর কত শিশু অকালে ঝরে গেলে আমাদের রাষ্ট্রের বোধদয় হবে? আর কত বাবা মায়ের কোল খালি হলে আমাদের কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে?
আমরা এদের নাম দিয়েছি,স্বাধীনতা,মুক্তি আর সংগ্রাম,,,
শরীরী সংগ্রাম করতে করতে এরা চলে যায় ওপাড়ে….
সময় এসেছে এই স্বাধীনতা,সংগ্রাম, আর মুক্তিকে বাঁচিয়ে রাখার-
প্রকাশ্যে জনতার সম্মুখে ধর্ষকের “ফাঁসি”।
আর যেন কোন মায়া ভরা,হাসিখুশি উচ্ছ্বাস উচ্ছ্বসিত,বাবা মায়ের আদরের ছোট্র সতেজ সোনামনি শিশুটির প্রান দিতে না হয় ধর্ষকের সাথে যুদ্ধ করে…..
ধর্ষক হও হুশিয়ার,হও সাবধান
এবার তোমার বধিঁব প্রাণ…
—–লিয়াকত হোসেন লিটন।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply