গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লীপ গ্রান্টের টাকায় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা।
কাশিয়ানী উপজেলার ১০১ নং পূর্ব পুইশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দূর্গা রানী সরকার শনিবার জানিয়েছেন ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে দিতে হবে ২৩ হাজার ৫ শত টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট ধরা হয়েছে ১৫ শত টাকা। স্লীপ অনুদানের ৪০ হাজার টাকা উত্তোলনের সময় একদফা ভ্যাট কেটে রেখেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস ।
নিয়ম অনুযায়ী স্লীপের টাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করার কথা। কিন্তু সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নবকৃষ্ণ টিকাদার সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারভুক্ত ২৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্লীপ গ্রান্টের টাকা ব্যায়ের প্লান করে দিয়েছেন। ঐ প্লানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । তার নির্দেশনার বাইরে একটি টাকাও খরচ করার কোন সুযোগ নাই। বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার, আবর্জনার জন্য ঝুড়ির মতো প্রয়োজনীয় উপকরন ক্রয় জরুরী হলেও তা করা হচ্ছেনা বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, একটি মডেম ক্রয়ে ২৭০০ টাকা ,কিবোর্ড ক্রয়ে ৭০০ টাকা,পেন ড্রাইভ ক্রয়ে ৭০০ টাকা,দেয়াল ঘড়ি ক্রয়ে ৬০০ টাকা ,আর্ট পেপার ক্রয়ে ১২ টাকা ,সচিব সাহেবের ৯ দফার চার্ট ক্রয়ে ৫০০ টাকা ধার্য্য করে সে মোতাবেক কিছু সামগ্রী ইতোমধ্যে ক্রয় করা হয়েছে। অনেক কিছু এখনও ক্রয় করা হয় নাই। কিছু সামগ্রী অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সহকারি শিক্ষক গোবিন্দ গাইন মডেম,কিবোর্ড ,দেয়াল ঘড়ি,পেন ড্রাইভ ইত্যাদি অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করেছেন। ভাউচার দেখতে চাইলে তা দেখায় নাই।
বাজার দরের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সামগ্রী ক্রয়ের কারন জানতে চাইলে সহকারি শিক্ষক গোবিন্দ গাইন বলেছেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার যে প্লান দিয়েছেন সে মোতাবেক ক্রয় করা হয়েছে।
স্লীপের টাকায় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে বাধ্য করা এবং অতিরিক্ত মূল্য ধরে প্লান তৈরীর কারন সম্পর্কে জানার জন্য সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নবকৃষ্ণ টিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন লাভ হয় নাই।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply