আলফাডাঙ্গায় পুলিশের ২ এ এস আই ক্লোজ।
আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গত ৪ আগষ্ট ক্লোজ করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ২ আগষ্ট বিকালে বারাশিয়া নদীর পাড় থেকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখপুর গ্রামের অবঃ পুলিশ পরিদর্শকের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আরাফাতকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের এ এস আই ফারুক ইয়াবা আছে বলে চ্যালেঞ্জ করে। তল্লাশি করে তার কাছে কোন মাদক না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ সময় আরফাতের সাথে ওই পুলিশ কর্মকর্তার কথা কাটা কাটি হয়। পরে আরাফাত হেটে সামনে কয়েক গজ এগোলে পিছন থেকে আবার ওই এ এস আই ফারুক এসে আরাফাতের পিছনে ইয়াবা ট্যাবলেট ফেলে দিয়ে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ি বলে আটক করে। স্থানীয় লোকজন পুলিশের ইয়াবা ফেলে নাটক সাজিয়ে আরাফাতকে আটকের বিষয়টি দেখে ফেলে। পরে স্থানীয় লোকজনের চাপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আরাফাতের বাবা অবঃ প্রাপ্ত পুলিশের পরিদর্শক আঃ হাই ভূইয়া ঘটনা শুনে পরের দিন পুলিশ সুপার ফরিদপুর বরাবর আবেদন করেন পরে গত ৪ জুলাই থানার এ এস আই ফারুক ও তার সাথে থাকা এ এস আই রশিদকে ফরিদপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে। আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল করিম ওই ২ এ এস আইকে ক্লোজের সত্যতা স্বীকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে এ এস আই ফারুক স্কুল কলেজের নিরীহ ছেলেদের পকেটে গাঁজা, ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে অনেককেই হয়রানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাউকে ছেড়ে দিয়েছে আবার কাউকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ১৫১ /১৫৪ ধারায় আদালতে চালান করেছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সুশিল সমাজ আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের এ জাতীয় কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের চাকুরিচ্যুত করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করতে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে এ এস আই ফারুকের মুঠো (০১৭১২২২৩৮৪৫) ফোনে ফোন করলে তার ফোন বাজলেও রিছিভ করেনি।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply