একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি লেখক গবেষক আবীর আহাদ বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায় ও বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অপসারণ না-হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুয়া রেখে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো নির্বাচনও নয়।
আজ এক বিবৃতিতে আবীর আহাদ বলেন, কিছু কিছু ভুয়ার কারিগর, অমুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের কিছু অর্বাচীন বাচাল ও বেয়াদব সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের তথাকথিত দাবি তুলে ভুয়াদের রক্ষা করার চক্রান্ত করছে । তাদের মনে রাখতে হবে, ঢিমেতালে হলেও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার ভুয়া উচ্ছেদের একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে । আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পশ্চাতে অতন্দ্রপ্রহীর মতো দৃষ্টি রাখছি । এবং আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভুয়া উচ্ছেদ সম্ভব হবে । এখানেই ঐসব ভুয়ার কারিগর, ভুয়া ও তাদের বেয়াদব সন্তানদের গাত্রদাহ । বিশেষ করে কিছু সন্তান নামক অনধিকার চর্চাকারীদের উদ্দেশ্য তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পোনা দেখে লাফাও, কিন্তু জমিটি কার ?
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হবে কি হবে না, এটি নিয়ে তাদের এতো পোড়ে কেন ? তবে কি তারা ভুয়ার সন্তান ?
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন সম্পর্কে আবীর আহাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় পৌনে এক লক্ষ অমুক্তিযোদ্ধা রেখে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মুক্তিযোদ্ধা নামের বৈধতা দেয়া ও সেই নির্বাচনে ভুয়াদের ভোটে নির্বাচিত সংসদের ভুয়া কমান্ডারদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের জিম্মি হতে দেয়া যাবে না । মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক মর্যাদা ও ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল নির্বাচনের কথা ভাবা যাবে । এর পূর্বে নির্বাচনের পদক্ষেপ নেয়া হলে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সে-নির্বাচন শুধু বর্জনই করবে না—–তা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply