হারান মিত্র( আলফাডাঙ্গা) ফরিদপুর, প্রতিনিধিঃ- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা অন্তরভূক্ত বাঁকাইল গ্রামে শেষ সম্বল পৈত্রিক ভিটা বাড়ী বিক্রিত টাকায় অল্পদিনে গাভী পালন করে সাবলম্বী হয়েছেন মিজান শেখ।
জানাযায় মিজান শেখ বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের মৃত রহমান শেখের ছেলে, দীর্ঘদিন যাবত হাসামদিয়া বাজারে বিস্কুট ফ্যাক্টরির ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন।
বেশ ভালোই চলছিল এ পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারের খরচ বহন সহ ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ। ওই ব্যবসায় হটাৎ কপাল দোষে রাতের আধারে আগুনে পুড়লো সর্বস্ব। আনুমানিক গত ৭ বছর পূর্বে এ দূর্ঘটনায় মিজান শেখ এলাকা ছাড়া হন।
এর পড় অনাহারে অর্ধাহারে পরিবার নিয়ে চলতে থাকে মিজান শেখের জীবন সংসার।
শেষ সম্বল পৈত্রিক ভিটা বাড়ী বিক্রী করে এলাকা ছেড়ে আলফাডাঙ্গা বাঁকাইল গ্রামে ভাড়া বাড়ীতে এসে সর্ব প্রথম পৈত্ররিক ভিটা বাড়ি বিক্রীত টাকায় তিন টি গাভী ক্রয় করে গত তিন বছর পূর্বে গাভী পালন শুরু করেন ।
তিনি বর্তমানে নিজ অর্থায়নে ১৯ টি গাভীসহ কয়েকটি বাচ্চা নিয়ে গাভীর দুগ্ধ খামারে পরিনত করেছেন।
গত কাল এ দুগ্ধ গাভী পালন বিষয়ে মিজান শেখের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে ৬ টি গাভী দুই বেলা ৬০-৬৫ কেজি দুধ দেয়, সারা বছরেই গাভী দুধ দেয়, দুধ বিক্রী করে খামারের খরচ বহন সহ আমার পরিবার চলছে বেশ হেঁসে খেলে।
তিনি আরো বলেন, গড় হিসেবে প্রতি বছর প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা লাভবান হচ্ছি। একটি ছেলে ছেলেটি আলফাডাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজে মেনেজমেন্টে অনার্স ফাইনাল বর্ষে এবং মেয়েটি কামার গ্রাম কলেজে এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়া লেখা করে। বর্তমানে আমি খামার ব্যবসায় মোটামুটি ভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছি, এখন সরকারী ভাবে যদি বেশী পরিমান ঋন সহযোগীতা পেতাম তাহলে বেশি বেশি গাভী আমদানী করে এলাকার বেকার ছেলেদের অর্থের বিনিময় কাজের সুযোগ হতো এবং আমি গাভী পালন করে দ্রুত আরো সাবলম্বী হতাম।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply