গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুশেন সেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নন্দিতা খান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নন্দিতা খান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুশেন সেন কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বিভিন্ন সময় বিনা কারণে পরিষদে ডেকে আনেন এবং একা পেয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জোর করে হাত দেন। এভাবে বেশ কিছু দিন চলতে থাকে। এরপর সে তার স্বামী ও এলাকার কয়েকজনকে ঘটনাটি বলে।
সর্বশেষ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার কাজ এনে দিবে বলে ঢাকা গিয়ে তার সাথে হোটেলে থাকার জন্য বলেন। রাজি না হওয়ায় পরিষদে ঢুকতে দেন না।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গোপালপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নন্দিতা খান বলেন, চেয়ারম্যান সুশেন সেন নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কাছে আসার চেষ্টা করত। কারণে অকারণে আমাকে পরিষদে আসতে বলতো। আর সুযোগ পেলেই গায়ে হাত বুলিয়ে কথা বলতো। হঠাৎ একদিন আমাকে পেছন দিক থেকে এসে জড়িয়ে ধরে। আমি সবাইকে বলে দিবো বললে ছেড়ে দেয়। এরপর আমি সম্মান হারানোর ভয়ে প্রথমে আমার স্বামীকে বলি। আমার স্বামীকে বলে দেওয়ার অপরাধে আমাকে পরিষদে ঢুকতে দেন না। সবার সামনে আমাকে বলে তুই থাকলে কোনো সভা চলবে না। তুই এখান থেকে বের হয়ে যা। তাই আমি জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই। আজ মহিলা হয়ে সাধারণভাবে চলা ফেরা করতে পারছি না ।
গোাপলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ওবায়দুর রহমান মুন্সি বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান নন্দিতাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে যে কাজ করেছেন তা জঘন্যতম অপরাধ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগেও এধরনের অপকর্মের কথা শুনেছি। তবে এই কোনো চেয়ারম্যানের কাজ হতে পারে না। এটি খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুশেন সেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। প্রথম থেকেই নন্দিতার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য আছে। এ জন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগে করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে সে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার বলেন, গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নন্দিতা খান নামের এক নারী সদস্যর একটি অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply