গৌরাঙ্গ লাল দাস,কোটালীপাড়াঃ- আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১লক্ষ ৭২হাজার ভোটারের দৃষ্টি এখন ঢাকায়। হাট-বাজার, অফিসপাড়াসহ জনবহুল প্রতিটি এলাকার ভোটারদের মাঝে একটি আলোচনা কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৪জন প্রার্থী দলের মনোনয়নের জন্য ধানমন্ডীর কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম কিনে জমা দিয়েছিন।
এরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, আওয়ামী লীগ নেতা কমল সেন, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, এডভোকেট নিখিল দত্ত, সাবেক পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, শেখ রাসেল কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ, কাজী মন্টু কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা তাপস হালদার, এডভোকেট চিত্ত তালুকদার, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাগচী ও কলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণপ্রসাদ মজুমদার।
এ সকল প্রার্থীদের নিয়ে গোটা উপজেলায় চলছে জল্পনা-কল্পনা। কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন। যিনি আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পাবেন তিনিই নিশ্চিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের কোন প্রার্থী নেই বা আগামীতে মনোনয়নপত্র জমা দেবার সম্ভাবনাও নেই। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা দীর্ঘ হলেও মনোনয়ন ছাড়া নির্বাচন হলে ৩ থেকে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী উপজেলা হওয়ায় তার সিন্ধান্তের উপরই মনোনয়নের বিষয়টি নির্ভর করছে বলে দলের নির্ভর যোগ্যসূত্রে জানাগেছে। আগামী শুক্র অথবা শনিবার মনোনয়নের বিষয়টি চুড়ান্ত হতে পারে বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থাকার কারণে মনোনয়নের বিষয়টি ফয়সালা হয়নি। দু’ এক দিনের মধ্যে তিনি মনোনয়নের বিষয়টি চুড়ান্ত করবেন। তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা সবাই মিলে তার নির্বাচন করবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে পাঁচ বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সহযোগিতায় উপজেলাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেছি। তিনি যদি আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমাকে মনোনয়ন না দিলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। তবে নেত্রী যদি নির্বাচন ওপেন করে দেন তাহলে আমি নির্বাচন করবো।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, দু’বার উপজেলা নির্বাচন করে একবার জয়লাভ করেছি। এই দুই নির্বাচনে আমার সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও আমাদের দুজনার মাঝেই লড়াই হবে বলে আমি মনে করি। তবে মনোনয়ন হলে জননেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা সকলে মিলে তার নির্বাচন করবো।
জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, জনগনের সেবা করার জন্যই রাজনীতিতে এসেছি। মানবতার জননী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তা হলে একটি আধুনিক কোটালীপাড়া গড়ে তুলবো।
আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষিতিশ দত্ত বলেন, যে ব্যক্তি অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে সার্বক্ষনিক ভাবে উপজেলাবাসীর সেবা করবে আমরা সে ধরণের ব্যক্তিকে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
উল্লেখ্য: তৃতীয় ধাপে আগামী ২৪মার্চ কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply