গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েও শেষ হচ্ছেনা গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রান বলে খ্যাত মধুমতি লেক সংস্কারের কাজ। শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর একাংশ কালের আবর্তে পরিনত হয় লেকে। প্রায় দশ বছর পূর্বে লেকটির সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চালু হয়েও অসমাপ্ত থেকে যায়। পরবর্তীতে লেকটি হয়ে পড়ে কচুড়িপানাসহ নোংরা আবর্জনাপূর্ন। লেক ও লেকপাড়ে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করে সৌন্দর্যবর্ধন কাজ যতটুকু হয়েছিল তা অচিরেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করে। মধুমতি লেকটির পাড় থেকে চুরি হতে থাকে বৈদ্যুতিক বাতি। রেলিং ভেঙ্গে পড়াসহ চুরিও হয়। লেকপাড়ের পার্কে যত্রতত্র চা ও চটপটির দোকান গজিয়ে ওঠে। ব্যস্ত সড়কটিতে সৃষ্টি হয় অসংখ্য খানাখন্দ। পন্যবাহি ট্রাকগুলি মাল লোড ও আনলোড করা শুরু করে। লেকপাড়ের সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়ামের সামনে রাস্তার ওপর বর্জ্য ফেলা হয়। লেকের মধ্যেও বর্জ্য ফেলতে শুরু করে শহরের বাসিন্দা বা ব্যবসায়ীরা। সমগ্র লেক ও লেকপাড়ের পরিবেশ সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ে। প্রথম দফায় সৌন্দর্যবর্ধন কাজে সার্বিকভাবে ব্যয় হয় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় দফা কাজ শুরু হয় চলতি বছর গোড়ার দিকে। প্রথম দফায় যে কাজ হয়েছিল দ্বিতীয় দফা কাজ শুরু করায় তাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঠিকাদাররা যেভাবে পারে সেভাবে খনন করে লেকটি। ফলে খনন করা মাটি ফেলায় পাড়ের ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। লেকটির পাড়ে বসানোর জন্য ব্লক তৈরী করা হয় লেকপাড়ের পার্কে। এতে প্রচুর সংখ্যক গাছসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন জিনিস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গত কোরবানীর ঈদের পর লেকটি সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
লেকটি সংস্কারের কাজ হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ার কারন জানার জন্য পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায় নাই।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো: শাহিনুজ্জামানের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন ,‘বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় দফা কাজে নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হয় নাই। প্রথম দফা কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। কাজ কবে শেষ হবে তা বলা সম্ভব নয়। কাজ কবে শুরু হয়েছে আর সামগ্রিকভাবে কত ব্যয় হচ্ছে তা জানা নাই’।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply