গৌরাঙ্গ লাল দাস:- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দু’শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার। প্রতি বছর কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মান করে এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার শহিদ মিনার না থাকার কারণে শুধু আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি পালন করে থাকে। এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মান এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যায়ল, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি মাদ্রাসায় শহিদ মিনার নেই। এছাড়াও প্রায় ২০টি ছোট বড় কিন্ডার গার্টেনেও শহিদ মিনার নেই।
উপজেলার ৮০ নং কুরপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌরিন রহমান মৌ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহিদ মিনার নেই। প্রতি বছর আমরা কলা গাছ দিয়ে শহিদ মিনার নির্মান করে তাতে ফুল দিয়ে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে নিহত শহিদরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা চাই আমাদের বিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার হোক।
৭৯নং পূর্নবর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী শহিদ মিনার নেই। আমরা কলা গাছ দিয়ে শহিদ মিনার নির্মান করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহিদ নির্মান এখন আমাদের সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কোটালীপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী সাফায়েত হোসেন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলোর যখন নতুন ভবন নির্মান করা হয় তখন ইষ্টিমিটে একটি শহিদ মিনার ধরা থাকলে সরকারের তেমন কোন বরাদ্দ বাড়ে বলে আমি মনে করিনা। তাই আমি চাইবো আগামীতে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন হবে সে সকল ভবনের ইষ্টিমিটে যেন শহিদ মিনার নির্মানের অর্থ ধরা থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, উপজেলার যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই আমরা অতি দ্রুতার সহিত সে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মানের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এছাড়া আগামীতে যে সকল বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান করা হবে সে সকল ভবনের ইষ্টিমিটে যাতে শহিদ মিনার নির্মানের অর্থ ধরা হয় সে জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে সমন্বয় করবো।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply