স্টাফ রিপোর্টার,গোপালগঞ্জঃ- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নারীদের সম্ভ্রম বাচাঁতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার উপজেলার বান্ধাবাড়ি হাটে এলাকাবাসীর আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে ১১ পর্যন্ত এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হান্নান শেখ, সমাজসেবক মো: ওবায়দুল গোলদার, মিলন গোলদার, মো: ইউনুচ পাইক বক্তব্য রাখেন।
হান্নান শেখ তার বক্তব্যে বলেন, বান্ধাবাড়ি গ্রামের হারুন-অর- রশিদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিধবা ও অসহায় নারীদের টাকা পয়সার লোভ এবং প্রভাব খাটিয়ে সম্ভ্রমহানী করে আসছে। সে এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ভয়ে এসব নারীরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। সম্প্রতি তিনি এলাকার একটি বিদ্যালয়ের এক বিধবা আয়াকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়নি। পরবর্তীতে হারুন-অর-রশীদ কম্পিউটারের মাধ্যমে ওই আয়ার ন্যুড ছবি তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই আয়া বাদী হয়ে গত ২১ জুলাই কোটালীপাড়া থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি আদালত পিবিআইকে তদন্ত দিলে পিবিআই হারুন-অর- রশীদকে নির্দোষ দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
মো: ওবায়দুল গোলদার বলেন, হারুন-অর-রশীদকে আসামী করে ওই আয়া যে মামলা করেছে আমি সেই মামলার সাক্ষী। পিবিআই এর অফিসার এসআই মো: ফিরোজ আহম্মেদ আমাদের এলাকায় এসে আমাদের বক্তব্য না শুনে সাক্ষীদের একটি কাগজে সাক্ষর নিয়ে চলে যান। তিনি আমাদের যে বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন আমরা তা বলিনি। আমরা এই মামলার পূনরায় তদন্ত চাই।
মো: ইউনুচ পাইক বলেন, হারুন-অর-রশীদ এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে এলাকায় একটার পর একটা অপকর্মে করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তার হাত থেকে এলাকার বিধবা ও অসহায় নারীদের সম্ভ্রম বাচাঁতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভুক্তভোগী ওই আয়া বলেন, হারুন-অর-রশীদ আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতো। আমি রাজী না হওয়ায় আমার খারাপ ছবি তৈরী করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আমি সামাজিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি লম্পট হারুনের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে হারুন-অর-রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমি এ ব্যাপারে কোন প্রকার মন্তব্য করতে চাই না।
গোপালগঞ্জ জেলা পিবিআইর এসআই মো: ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাক্ষীগন যে অভিযোগ তুলেছেন তাহা সত্য নয়। সাক্ষীগন যে সাক্ষী দিয়েছে আমি আদালতে তাহা পেশ করেছি।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply