কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকেই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। গতকাল শনিবার গনভবনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত দলের মনোনয়ন বোর্ড সভায় এমন সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, যেহেতু কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী নেই। তাই আমাদের এই উপজেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখন যে যার মতো করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
তবে এই সিন্ধান্তে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলেছেন, মনোনয়ন দেয়া উচিৎ ছিল। আবার কেউ বলেছেন, মনোনয়ন না দেয়ায় ভাল হয়েছে।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪জন প্রার্থী দলের ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম ক্রয় করে মনোনয়নের জন্য জমা দিয়ে ছিলেন। এরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ^াস, জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, আওয়ামী লীগ নেতা কমল সেন, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, এডভোকেট নিখিল দত্ত, সাবেক পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, শেখ রাসেল কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ, কাজী মন্টু কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা তাপস হালদার, এডভোকেট চিত্ত তালুকদার, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাগচী ও কলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণপ্রসাদ মজুমদার।
সম্ভাব্য এ সকল প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই মনোনয়ন লাভের আশায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। গতকাল রাতে নির্বাচন উন্মৃক্ত করে দেবার ঘোষনার কারণে এ সকল প্রার্থীরা সবাই এক রকমের হতাশ হয়ে খালি হাতে ঢাকা থেকে ফিরে আসেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, যেখানে সারা দেশে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুৃর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলায় নৌকা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। দলের এই সিন্ধান্তে আমি হতাশ।
উপজেলার ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ী পিংকু সাহা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়ে একটি সময়োপযোগী সিন্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিন্ধান্তে ভোটারদের মূল্যায়ন হবে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
ব্যবসায়ী আবুল বাশার দাড়িয়া বাসু বলেন, যে ব্যক্তি অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে সার্বক্ষনিক ভাবে উপজেলাবাসীর সেবা করবে আমরা সে ধরণের ব্যক্তিকে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
উল্লেখ্য: তৃতীয় ধাপে আগামী ২৪মার্চ কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply