সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা আজ বেহাল দশায়।
দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির অধিকাংশ স্থান গর্তে পরিণত হয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। ফলে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মোটরসাইকেল, সাইকেল তো দুরের কথা পা হেঁটেও চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের আমতলা অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামের সাথে সংযুক্ত রাস্তাটির বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে ডেঙ্গুর বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেদিকে বেশি নজরদারি করতে হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তাটি সম্পর্কে আমি অবগত। ইতিমধ্যে রাস্তা মেরামত করার জন্য বাজেট হয়েছে। খুব শীঘ্রই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য কাজ শুরু হবে।
বিষয়টি একাধিকবার ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি বলেন, রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ১০২০০০ (এক লাখ দুই হাজার) টাকা বাজেট হয়েছে। রাস্তাটির মেরামত সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ইউনিয়নের হাজীপুর, নারায়নপুর, রায়পুর, ঘরচালা, শিয়ালডাঙ্গা, কাঁঠালতলা, বল্লী, শিবনগর গ্রামে চলাচলের যোগাযোগ মাধ্যম আমতলা গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এই অবহেলিত রাস্তাটি। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এলাকার জনসাধারণ পার্শ্ববতী গ্রাম গুলোতে যোগাযোগ রাখতে পারছে না। যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, আমাদের এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছি না। ফসলের মৌসুমে শত শত কৃষকের সোনার ফসল ঘরে তোলার একমাত্র রাস্তা এটি। বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা আমরা হেঁটে চলাচল করতে পারি না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিকবার ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামকে জানিয়েছি কিন্তু তিনি কোনো কাজ করছেন না। তিনি বারবার বলছেন খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবো। রাস্তার কাজ করার জন্য বাজেট এসেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও ইউপি সদস্য বা কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকাবাসীর আবেদন রাস্তাটি যেন দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply