সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নে আমতলা টু রায়পুর সড়কের পাশে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে জেলা পরিষদের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টুর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১২ নং বল্লী ইউনিয়নের আমতলা টু রায়পুর সড়কের মিজানুর রহমান ও মশিয়ার মাস্টারের মাছের ঘের সংলগ্ন স্থান হতে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ১১টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্য থেকে রাতারাতি ৩ টি গাছ বাদে বাকি গাছ গুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। যার প্রতিটি গাছের আনুমানিক মুল্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
সকালে স্থানীয়রা দেখেতে পায় যে রাতের আধারে রাস্তার গাছ গুলো কেটে রাতারাতি সরিয়ে ফেলেছে। এবং অল্প কাঠ পড়ে আছে , তখন তারা অবশিষ্ট কাঠ এবং যারা গাছ কাঠছিলো তাদের আটকিয়ে দেয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা জানায় আমরা তো কর্মচারি। কামরুল ব্যাপারি এই গাছ কিনেছে জেলা পরিষদ সদস্য লাল্টু ও দার সহযোগি বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহীদের কাছ থেকে।
এবিষয়ে কামরুলের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় আমি কাঠের ব্যাপারি আমি এ গাছ লাল্টুর নিকট হতে কিনেছি। তার নির্দেশ মত রাতের আধারে গাছ গুলো কেটে একড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে রেখেছি আর অল্প কিছু কাঠ এখনো ঘটনা স্থলে আছে।
এব্যাপারে শহীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সব সময় লাল্টুর সাথে থাকি তিনি যা বলেন আমি সেটাই করি। এ ব্যাপারে কিছু জানতে হলে আপনারা লাল্টুর কাছে ফোন দেন। মুটো ফোনে লাল্টুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের সার্ভিয়ার আবুল হাসানের কথামত এ গাছ বিক্রয় করেছি। তিনি কয়েকদিন আগে এসে ১১টি গাছে লাল কালি দিয়ে নাম্বারিং করে যায় এবং এই গাছ গুলো আমাকে বিক্রয় করে দিতে বলে। এ বিষয় বল্লী ইউপি তফসিল অফিসের নায়েব বলেন আমি গাছ কাটার বিষয়টা সকালে জানতে পারি। আমি বিষয়টা জানার সাথে সাথে আমার অফিস সহকারিকে পাঠিয়ে অবশিষ্ট কাঠ আটকিয়ে দেই। জেলা পরিষদের সার্ভিয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কাওকে জেলা পরিষদের গাছ কাটার অনুমতি দেইনি। জেলা পরিষদ সদস্য ওবাইদুর রহমান লাল্টু কে বলি ঐ রোডের মরা গাছ গুলো লালকালি দিয়ে নাম্বারিং করতে এর বেশি আমি কিছু জানিনা। সরকারি গাছ কাটার অপরাধে অপরাধিদের আইনের আওতায় এনে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নিকট উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার স্বচেতন মহল।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply