নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- নড়াইলের কালিয়ায় একটি সরকারি রাস্তার পাশের প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেয়ার সময় আটকের একদিন পর সরকারি রাস্তার জমির মালিকানা জটিলতার অজুহাতে আটক গাছ ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাটাগাছ আটকের একদিন পর বুধবার দুপুরে ইউএনওর মধ্যস্ততায় কাটা গাছগুলো চেয়ারম্যানের অনুকুলে ছেড়ে দিলে ঘটনাটি ব্যাপক জানাজানি হয়। সংগত কারনেই সচেতন মহলসহ এলাকাবাসির মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আসলে সরকারি রাস্তার পাশের ওই গাছগুলো কার ? ইউএনও সাহেব ওকি জানেন না যে, সরকারি রাস্তার গাছের মালিক কে ? তবে প্রভাবশালী ওই চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস না পেলেও ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার খোরাকে পরিনত হয়েছে।
উপজেলার মুলশ্রী-চরমধুপুর রাস্তাটি বহু পুরনো। কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়ক থেকে চরমধুপুর গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। কয়েকবার মাটি দিয়ে উন্নয়নের পাশাপাশি রাস্তার দুই পাশে সরকারের পক্ষে একটি এনজিও রোপন করেছিল মেহগিনিসহ মূল্যবান গাছের চারা। সে গুলো এখন গাছে পরিনত হয়েছে। কয়েক বছর আগে সরকারি অর্থে জনস্বার্থে রাস্তাটি ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা মোকারম হোসেন হিরুর নেতৃত্বে ওই সরকারি রাস্তার চরমধুপুর নামক স্থান থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি মেহগিনি গাছ কেটে নেয়ার সময় মঙ্গলবার বিকালে সরকারি রাস্তা থেকে চেয়ারম্যানের কেটে নেয়া গাছগুলো আটক করেন। এবং পরদিন বুধবার দুপুরে জমির কাগজপত্র দেখার নাম করে চেয়ারম্যানকে ডেকে নিয়ে ইউএনওর মধ্যস্ততায় উপজেলা প্রকৌশলী গাছগুলো চেয়ারম্যান হিরুর অনুকুলে ছেড়ে দিলে ওনদিন বিকালেই হিরু মোল্যা তড়িঘড়ি আটক গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পহরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ওই রাস্তার গাছ কেটে নেয়ার সত্যতা স্মীকার করে বলেছেন, রাস্তার ওই অংশটি তার জমির উপরদিয়ে নির্মিত হওয়ায় এবং গাছ গুলো তিনি রোপন করার কারনে ইউএনও অনুমতি নিয়ে কেটেছেন। কালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল কবির রাস্তাটিকে সরকারি রাস্তা হিসাবে অভিহিত করে এবং চেয়ারম্যান কতৃক সরকারি রাস্তার পাশ থেকে কাটা গাছ আটককের সত্যতা স্মীকার করে বলেছেন, যদিও রাস্তাটি সরকারি তবে এস এ রেকর্ডের জরিপ ম্যাপে রাস্তাটি না থাকায় ইউএনও মধ্যস্তায় সরকারি রাস্তার মালিকানা জটিলতার কারনে আটক গাছ চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাউকে রাস্তার গাছ কাটার অনুমতি দেননি বলে জানান। এবং ওই চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার অজুহাতে ফোন রেখে দেন।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply