ডেস্কঃ- স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে নেতা কর্মীবৃন্দ। লড়াইয়ের মাঠে সাধারণ সম্পাদক পদে গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে এগিয়ে রাখছেন তাঁরা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে যোগ্য হিসেবে দেখছেন গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এসব সহযোগী সংগঠনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ অন্যতম শক্তিশালী একটি সংগঠন। আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। তবে এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন।
দীর্ঘ সাত বছর পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায়, সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। এক কথায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নেতৃত্বের পালাবদলের এই সম্মেলন ঘিরে এরই মধ্যে নেতাকার্মীদের কাছে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ক্যাসিনো কান্ডের পর বিতর্কিত অনেক নেতাই এখন গাঢাকা দিয়েছে আর ত্যাগী নেতারা এখন মাঠে সক্রিয়। ‘সেই সাথে পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গিয়েছে।’
সাবেক ছাত্রনেতা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্লিন জেন্টেলম্যান বলতে যা বোঝায় গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু তাই।
বর্তমান কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেও কেন্দ্রীয়, মহানগর ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগে যে কয়জন প্রার্থী আছেন তাদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা, নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এগিয়ে। তাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে সভাপতি হিসাবে দেখতে চায়।
তৃণমূল থেকে ওঠে আসা সাচ্চুর রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রলীগ থেকে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেন। হামলা-মামলা-নির্যাতন সহ্য করে তিনি এক এক করে হয়েছেন, বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য থেকে শুরু করে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের পর পর দু’বার সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।
‘বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে বার বার বিএনপি জামায়ত নেতাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তিনি।
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ৯০ এর স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলনে মুজিব আদর্শের সাহসী সৈনিক ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে আহত মৃত্যুঞ্জয়ী রাজপথের নিবেদিত প্রাণ।
গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তান এবং বাংলার মাটি ও মানুষের নেতা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্ব মহলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ কেউ কখনো করতে পারেনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী অভিযান তখনই সফল হবে যখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মত শক্তিশালী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কোটি টাকার ব্যবসায়ী, কালো তালিকাভুক্ত নেতাদের সিন্ডিকেট সদস্য ও সর্বোপরি এসব কলঙ্কিত ব্যক্তি বাদ যাবে।
জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্নেহধন্য গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন এমনটাই ভাবছেন কর্মীবৃন্দ। গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলে তৃণমূলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আরো শক্তিশালী হবে বলেই সংগঠনের প্রতিটি কর্মীর বিশ্বাস।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply