রিয়াজ মুস্তাফিজঃ- বাড়ছে মধুমতির ভাঙন। ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে চির পরিচিত ঘরবাড়ি, ভিটে। কত পরিচিত উঠোনের পাশে সযত্নে লাগানো কিশোরীর ফুল গাছটিও।
বিলীন হয়ে যাচ্ছে ছোট্ট শিশুদের চড়ুইভাতির আয়োজন। কলা পাতার খেলাঘর। হাজারো বেদনার স্মৃতি, কত্ত রঙ্গিন সব স্বপ্ন।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন চর নারানদিয়া গ্রামের গল্প এটি। মধুমতির তীব্র ভাঙনে প্রায় বিলীন হতে বসেছে আলফাডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী গ্রামটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য ঘর বাড়ি, জমি জমা, গাছ গাছালি মধুমতি গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি ঘর বাড়ি স্কুল মাদ্রাসাও তীব্র ভাঙনের মুখে রয়েছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, হঠাৎ করেই মধুমতির ভাঙনে ত্রিশটা বাড়ি ভেঙে যায়। মানুষ ঘরবাড়ি সরাতে পারে নাই। গাছ গাছালি ও জমির ফসলাদি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন কবলীত মানুষজন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নাই। পরের জায়গায় কোন মতে ছাপড়া দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারের কাছে বাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
দক্ষিণ চর নারানদিয়া গ্রামের ইকরামুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙনের যন্ত্রনা কত নির্মম হতে পারে এ অঞ্চলের মানুষ তার জলন্ত উদাহরন। নদী ভাঙলে কিচ্ছু থাকেনা। সরকারের কাছে তিনিও বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানান।
দক্ষিণ চর নারানদিয়া গ্রামের শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা এখানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছি। গ্রামের মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দক্ষিণ চর নারানদিয়ার সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষের হাহাকারে ভারী হয়ে উঠেছে এখানকার পরিবেশ। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে, পুরো গ্রামটি মধুমতির গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে এমন আশংকা এখানের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply