আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে ঢাকার মিরপুরের আল হেলাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৫বছর।
তার মৃত্যুতে পরিবারের স্বজন,সাংবাদিক ও সুধীমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সাংবাদিক হারাণ মিত্র উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদড়া গ্রামের সুভাষ মিত্র ও সন্ধ্যা রানী মিত্রের একমাত্র ছেলে।মৃত্যুকালে সে তার দশ বছরের পুত্র পিয়াস মিত্র ও দেড় বছরের কন্যা প্রিয়ন্তী মিত্র নামে দুই সন্তান রেখে গেছেন।এ ছাড়া তিনি বাবা-মা,স্ত্রী,বোনসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
জানা যায়, সাংবাদিক হারাণ মিত্র গত ১৯ অক্টোবর বিকালে আকস্মিক অসুস্থতা বোধ করলে তার পরিবারের স্বজনরা তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২০ অক্টোবর তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।কিন্তু সেখানেও তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না ঘটলে তাকে ২১ অক্টোবর এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সবশেষ তিনি ঢাকার মিরপুরের আল হেলাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে আনা হবে বলে জানা গেছে।শুক্রবার সকাল ৮টার সময় তার গ্রামের বাড়ীতে সৎকার সম্পন্ন করা হবে বলে বিষয়টি বার্তা বাজারকে নিশ্চিত করেছেন তার বোন স্বপ্না মিত্র।
সাংবাদিক হারাণ মিত্রের অকাল মৃত্যুতে শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।এছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
Leave a Reply