ট্যাক্স আদায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত পাস বই
হাচিবুর রহমান,কালিয়া, নড়াইল প্রতিনিধি:- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেসরকারি ভাবে এনজিও নিয়োগ করে আদায় করা হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। এমনকি জাতীয় মনোগ্রাম ব্যাবহার করে চেয়ারম্যািন নিজের নাম ব্যাবহার করে বানিয়ে নিেেছ ব্যক্তিগত ট্যাক্স পাস বই। বইতে লাল কালিতে লেখা রয়েছে, এই পাসবই ব্যাতিত সকল নাগরিক জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক, চারিত্রিক, ওয়ারেশ সার্টিফিকেট সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার দাপ্তরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কোন প্রচার প্রচারনা এবং আত্বপক্ষ আপিলের সূযোগ না দিয়েই প্রশাসনের ভয়ভিতি দেখিয়ে ৩ থেকে ৫ গুন বেশি আদায় করা হোল্ডিং ট্যাক্স। এনজিও’র লোক স্থানিয় গ্রামপুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অতিরিক্ত এ ট্যাক্স পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে একনকি কেউ ২ দিনের মধ্যে না দিতে পারলে তাদের মামলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, তাদের কাছ থেকে যে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছে তা নেওয়া দরকার ছিলে চেয়ারম্যানের সকলকে নিয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর। কিন্তু তারা কেউ জানতে পারছে না তাদের এই এত বেশি ট্যাক্স বিভাবে হচ্ছে, হঠাৎ একজন এনজিও কর্মী তাদের বাড়িতে এসে বলছে আজকের মধ্যে এই হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। না দিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। এলাকাবাসি যাকে চেনে ভিক্ষুক বুবা, কচিকম হিসাবে তার কাছ থেকেউ একদিনের মধ্যেই আদায় করা হয়েছে ৩০০ টাকা। আর একটু সাবলম্বী হলেই আদায় করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০ টাকা। তাদের বাস্তবাড়ি আছে কিনা তা তোয়াক্কা না করে কে কত টাকা বেতনের চাকরি করে তার ভিত্তিতে আদায় করা হচ্ছে এ হোল্ডিং ট্যাক্স। ট্যাক্স আদায়কারি এনজিও সংস্থার দলনেতা রাজশাহি জেলার জাহাঙ্গীর আলম এবং সুরঞ্জিত সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। তারা সারা দেশ থেকেই নাকি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে থাকে। আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্সের শতকরা হারে একটি নির্দিষ্ট পরিমার টাকা তাদের থাকে। পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা মোকাররম হোসেন হিরুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন তথ্য দিতে বা জানাতে বাধ্য নই, বাড়ি আছে কিনা তা দিয়ে কি করব যার আর্থিক অবস্থা ভাল তার ২ হাজার টাকা ট্যাক্স ধরা উচিৎ ছিলো। এ ব্যাপারে তিনি গনমাধ্যমকে কোন তথ্য দিবেন না বলে তিনি জানান। ট্যাক্স আদায়ে এনজিও কর্মী নিয়োগের বিষয়টি অস্বিকার করে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের দায়িত্ব থাকে চেয়ারম্যানের উপর। চেয়ারম্যান নিয়ম অনুসারে এ ট্যাক্স আদায় করে থাকে। তবে অতিরিক্ত হারে ট্যক্স আদায়ের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে, প্রমানিত হলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply