তেসরা নভেম্বর : জেলহত্যা দিবস
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের চুয়াল্লিশতম শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁদের অম্লান স্মৃতির প্রতি জানাচ্ছি প্রাণের গভীরতম শ্রদ্ধাঞ্জলি।
উনিশশো পঁচাত্তর সনের পনেরো আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে দেশেবিদেশী যে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি পরিবার পরিজনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো, তারই ধারাবাহিকতায় একই বছরের তেসরা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত অনুসারী এই চার জাতীয় নেতাকেও তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে।
দেশেবিদেশী স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে কয়েক যুগ বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিলো। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণ নানান রক্তাক্ত আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পরাজিত করে দেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা এখন দেশ পরিচালনা করছেন।
আমি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী এই চার জাতীয় নেতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
আবীর আহাদ
সভাপতি,
একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply