সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: নাবালক মেয়েকে নির্যাতনের হাত উদ্ধার ও প্রতিবাদ করায় “লাল সবুজের কথা” পত্রিকার ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও “মধুমতি নিউজ২৪” এর সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ শাহ এর উপর আক্রমণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের আমতলা বাসাবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ফিরোজ শাহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোঃ মুজিবর রহমানের বড় মেয়ে মোছাঃ জেসমিন জাহান (২৬), মোঃ আবুবকর ছিদ্দিকের একমাত্র মেয়ে সাদিয়া তাসনিম হিরার (১৭) সম্পর্কে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিথ্যা অপবাদ ও গালাগালি করে। বিকালে সাদিয়া প্রাইভেট পড়তে আসলে জেসমিন নামের মেয়েটি সেখানে গিয়েও সাদিয়াকে মিথ্যা অপবাদ ও গালাগালি করে। বিষয়টি সাদিয়া সহ্য করতে না পেরে জেসমিনকে ধরে যে সমস্ত কথা বলছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে মারধর শুরু করে। এটি থেকে তাদেরকে পৃথক করে দিলে তারা উভয়েই সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু ঘটনাটি জেসমিন জাহানের মা মোছাঃ মমতাজ বেগম (৪৮) জানতে পারলে তার মেয়ে মোছাঃ ইয়াসমিন জাহান (২৫) ও একই গ্রামের মোঃ মফেজ উদ্দীন এর স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া খাতুন (৪৭) সহ ৭/৮ জন মহিলা এসে সাদিয়াকে মারধর শুরু করে। তাদের অত্যাচার থেকে সাদিয়াকে রক্ষা করা ও তাদেরকে প্রতিবাদীমূলক কিছু কথা বললেই তারা আমার উপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আমি তাদের হাত থেকে রক্ষা পেলেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। এরপরই শুরু হয়ে যায় তাদের অশ্লীল ভাষার বাবহার। তারা আমাকে অশ্লীল ভাষায় প্রচুর গালাগালি করে। এর আগেও তারা আমাকে পথিমধ্যে আটকে মারার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেখানে অনেক লোকজন থাকার কারণে ব্যর্থ হয়েছিল। আজ আমি নিজেই হতবাক হয়ে গেছি তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা দেখে। তারা যেকোনো মুহূর্তে আমার উপর আবারও আক্রমণ করতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিত সরকার জানান, আমি এবং আমার দুই বন্ধু আরিফুর রহমান ও সাংবাদিক ফিরোজ শাহ ছেলেমেয়েদের পড়ানোর সুবাদে এখানে আসি। কিন্তু আজ বিকাল ৫টার সময় হঠাৎ করে এই মহিলারা এসে আমার ছাত্রী সাদিয়ার উপর মারধর শুরু করে। ছাত্রীটি ফিরোজের আত্মীয় হওয়ায় সে আমার সাথে মেয়েটিকে এই অত্যাচারিদের কবল থেকে রক্ষা করতে আসে। তাদের হাত থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করলে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে। তাদের হাত থেকে আমরা নিজেদেরকে কোনোভাবে রক্ষা করেছিলাম। তারপরেই ঐ মহিলারা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দেওয়া শুরু করে যেগুলো মুখে উচ্চারণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বিষয়টি সাদিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে অশ্রুসজল চোখে বলে, জেসমিন আমাদের মাদ্রাসায় গিয়ে কমনরুমে ৩০/৪০ জন মেয়ের সামনে সে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। এটি আমি প্রিন্সিপাল হুজুরের সাথে বলতে গেলে জেসমিন মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। কিন্তু বিকালে প্রাইভেট পড়তে গেলে জেসমিন সেখানে গিয়েও একই কথা বলে। আমি তার কাছে কথাগুলো কে বলেছে সেটি জানতে চাইলে সে আমাকে মারধর করে। বিশ্বজিত ভাইয়া আর ফিরোজ ভাইয়া না থাকলে সে আমাকে আরো মারধর করতো। পরে জেসমিনের মা-বোন সহ ৭/৮ জন মহিলা এসে আমাকে আবার মারা শুরু করে। বিশ্বজিত ভাইয়া আর ফিরোজ ভাইয়া তাদের থেকে আমাকে ছাড়িয়ে দিলে পরে ভাইয়াদেরকে মারতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ মমতাজ বেগম ও মোছাঃ আলেয়া খাতুন আগে থেকেই পরিকল্পনা করে মমতাজ বেগমের বড় মেয়েকে সাংবাদিক ফিরোজ শাহ এর দিকে এগিয়ে দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে এলাকায় দেহ ব্যবসা করে। এছাড়াও তারা গোপনে এলাকার যুবকদের মধ্যে মাদক সরবরাহ করে।
তাদের দেহ ব্যবসা ও মাদক সরবরাহের তথ্য সাংবাদিক ফিরোজ শাহ জানতে পারলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেন। আর এজন্যই মোছাঃ মমতাজ বেগম ও মোছাঃ আলেয়া খাতুন এই সাংবাদিকের ওপর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply