অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টুকে আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসে উচ্চ পদে দেখতে চায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে ইতিমধ্যে সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।
এছাড়া অন্যায়, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, ঘুষখোর এবং দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু।
সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু ১৯৭৫ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার বরাশুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত নজির উদ্দিন সরদার ও মাতা জোবায়দা গুলশানারা লিলি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স) এম.কম (ম্যানেজমেন্ট) নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে সক্রিয়ভাবে রাজপথে নামেন মিন্টু। কাশিয়ানী খালেক কলেজ থেকে তার ছাত্র রাজনীতি শুরু হয়। ১৯৯০-১৯৯১ সালে ঢাকা সিটি কলেজে ছাত্রলীগ গঠন করতে গিয়ে মিন্টু-সহ ২১জন ছাত্র বহিষ্কার হয়।
এরপর ১৯৯১-১৯৯২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তি হয়ে আবারও ছাত্রলীগ শুরু করেন তিনি। তখন একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। সে কমিটিতে সদস্য হিসাবে মনোনীত হন মিন্টু। পরে ১৯৯৪-১৯৯৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের (জাহাঙ্গীর-রবি) কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালের বিএনপি-জামাত চরদলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলন বেগমান করার লক্ষে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চ যখন গঠন হলে সেখানে প্রতিদিন উপস্থিত থেকে হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ আন্দোলন, গণস্বাক্ষর-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু।
শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন, ২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতের আন্দোলনের সময় পার্টি অফিসের সামনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জামাত-শিবিরের মোকাবেলা, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় বিশৃঙ্খল লোকজন দ্বারা ধানমন্ডিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা হলে অগ্রভাগে থেকে মোকাবেলা করেন তিনি।
এছাড়া ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রবাস জীবনে সর্ব ইউরোপ যুবলীগ গঠন করার লক্ষে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন যুবলীগ নেতা হরমুজ, আনোয়ার চৌধুরী, ইতালী যুবলীগের কিটনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাংগঠনিক সফর করেন। ১৯৯৮ সালে জার্মানীতে থাকাকালীন সময় পূর্ব জার্মানীর ড্রেসভিন প্রভিন্সের ওপার্ক হাইম বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর নূরকে দেখামাত্র বেদম প্রহার করে তিন দিন জেলও খাটেন তিনি। পরবর্তীতে জার্মান সরকার তার থাকার পারমিশন বাতিল করলে ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে ইতালীতে চলে যান।
ওয়ান এলেভেনের সময় শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের জন্য জনমত গঠন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, জাতিসংঘ অফিস, জার্মান, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইউনিসেফ-সহ বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে মিছিল-মিটিং করে জনমত গঠন করেন।
১৯৯৮-১৯৯৯ সালে ইতালী যুবলীগ এর যুগ্ম আহ্বায়ক, পরবর্তীতে ১৯৯৯-২০০৮ সালে ইতালী যুবলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৮ সালে ২৫শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (নানক-আজম) ও (ওমর ফারুক চৌধুরী ও মোঃ হারুনুর রশীদ) এর সদস্য হিসাবে আছেন সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু।
সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টুর কাছে ভবিষ্যতে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখার পাশাপাশি তাদের আত্মনির্ভরশীল করতঃ মন মানসিকতা বিকাশে আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবো। এছাড়া প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করার অভ্যাস গঠন করবো। সর্বোপরি যুব সমাজকে যুব শক্তিতে রুপান্তর এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে সুন্দর আধুনিক বাংলাদেশ গড়াই হবে আমার উদ্দেশ্য।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply