1. royelllab@gmail.com : admin : কালের চাকা ডেক্স :
  2. kashiani09@gmail.com : Uzir Poros : Uzir Poros
  3. newsdex@kalerchaka.com : নিউজ ডেক্স : নিউজ ডেক্স
  4. shaonbsl71@gmail.com : Shaharia Nazim Shaon Staff Reporter : Shaharia Nazim Shaon Staff Reporter
  5. soykatsn@gmail.com : Soykat Mahmud : Soykat Mahmud
  6. kcnewsdesk@kalerchaka.com : কালের চাকা ডেস্ক 2 : কালের চাকা ডেস্ক 2
  7. hksopno51@gmail.com : Shopno Mahmud : Shopno Mahmud
  8. demo@gmail.com : demo demo : demo demo
  9. editorparosh@gmail.com : editor parosh : editor parosh
  10. adminx@gmail.com : admin admin : admin admin
  11. admin@kalercchaka.com : admin Admin : admin Admin
  12. info@breakignews.com : Br ki : Br ki
  13. newsroom@kalerchaka.com : News Room : News Room
  14. niloykustia@kalerchaka.com : Niloy Rasul : Niloy Rasul
  15. info@pressengine.xyz : Press engine : Press engine
  16. royel.oe@gmail.com : Shakil Shakil : Shakil Shakil
  17. subadmin@dtmti.com : subadmin subadmin : subadmin subadmin
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিস :
দৈনিক "কালের চাকা" পত্রিকার সকল স্টাফ, সম্পাদক পরিষদ সহ সকল লেখক, পাঠক, বিঞ্জাপনদাতা, এজেন্ট, হকার ও শুভানুধ্যায়ীদের জানানো যাচ্ছে যে দৈনিক কালের চাকা পত্রিকার লোগো পাল্টানো হয়েছে আপনার আজ থেকে কালের চাকা সংশ্লিস্ট সকল জায়গায় নতুন লোগো দেখতে পারবেন শুভেচ্ছান্তে - সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক কালের চাকা

” সার্টিবেট দিয়ে কি অবি? রিয়াজ মুস্তাফিজ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশ সময় : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ১৫৩৫৫৭ নিউজটি দেথা হয়েছে

 

“সার্টিবেট দিয়ে কি অবি?
দ্যাশের জন্যি যুদ্ধে গেছিলাম
দরকার অলি আবার যাবো”

আমার বাবা মরহুম জয়েনউদ্দীন মোল্যা। ১৯৭১ এর একজন কিশোর যোদ্ধা। পশ্চিমা হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন। সামান্য চিড়া, গুড় পুটলাতে বেধে রওয়ানা দেন। সাথে সমবয়সী আরো কয়েকজন কিশোর। তাদের মধ্যে জিন্না, সামচেল, ও পথের অপরিচিত আরো কয়েকজন। অঘোষিত একটি দল তৈরী হয়ে যায় এ সময়। এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আমার সে সময়ের কিশোর বাবা। কখনো পায়ে হেটে, কখনোবা নৌকায় করে এগোচ্ছিল মুক্তিকামীর এই ছোট্ট দল।

রাজাকারের ধাওয়া, মিলিটারির গুলি কোন কিছুতেই দমছে না কিশোরের দল। দিনে পাট ক্ষেতে বা কোন জংগলে আত্বগোপনে থাকতো, রাতে গোপনে গোপনে ভারতের পথে পা বাড়াতো তারা।
পাকিদের গুলি শুরু হলেই গোরস্থানের ভাঙ্গা কবরে মৃত লাশের মত পড়ে থাকতো এই কিশোর মুক্তিকামির দল।

এভাবেই তারা পৌছে যায় ভারতে। কল্যানী ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষন শুরু হয় তাদের। অদম্য মনোবল ও দেশ স্বাধীনের বাসনা বুকে নিয়ে সফল ভাবে প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যায়।

এখন হায়ার ট্রেনিং এর অপেক্ষা।

এসে যায় ডিসেম্বর। কল্যাণী ক্যাম্পে থাকা অবস্থায়ই সুখবর শুনতে পায় কিশোর দলটি। তাদের ফিল্ডে গিয়ে যুদ্ধ করার আগেই শত্রু মুক্ত হয় বাংলা। নতুন সূর্য দেখতে ভারত থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা। নকশালের ভয়ে ছাড়পত্র ছিড়ে ফেলে শরনার্থী সেজে দেশে আসে কিশোর মু্ক্তিকামি এ দলটি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৪ বছর পরে এসে দেখলাম। দলটির অনেক সদস্যই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাঁদের কেউই পাননি মুক্তিযোদ্ধা সনদ, মৃতদেহে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা কিংবা কোন প্রকার সংবর্ধনা।

যখনই যুদ্ধের কথা উঠতো, বাবা কেমন যেন হয়ে যেতেন। কণ্ঠ আড়ষ্ট হয়ে উঠতো। চোখ ভারী ভারী হয়ে পড়তো। স্পষ্ট দেখেছি বাবার রোম দাড়িয়ে গেছে গল্প বলার সময়।

২০০৯ সালে আমার বাবাও চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। বাবার জীবদ্দসায় যখনি প্রশ্ন করতাম মুক্তিযুদ্ধ সনদ নিয়ে।

মৃদুহেসে বাবা একটাই উত্তর দিতেন—

সার্টিবেট দিয়ে কি অবি? দরকার অলি আবার যাবো।

নিউজটি ফেচবুকে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সর্বশেষ সংবাদ

© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com

Developed by MozoHost.Com