পরশ উজির : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরভাটপাড়া মৌজার ওয়াবদা খাল নামে পরিচিত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বালি ফেলে ভরাট করায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে অত্র এলাকার লোকজনের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, এই খালটি উপজেলার জঙ্গলমুকুন্দপুর, বুধপাশা, পারকরফা সুইচ গেট হয়ে চরভাটপাড়ার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই খাল দিয়েই অত্র এলাকার পানি ও খেতের পানি মধুমতি নদীতে নামে। কিন্তু খাল ভরাট হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চাষীরা।
আবুল বাসার শেখ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্ষা মৌসুমে এলাকার কয়েকটি গ্রামের সব পানি এ খাল দিয়ে মধুমতি নদীতে যায়। খালের কারণে তারা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পান। মাঠে ঠিকমতো ফসল ফলে। এই খাল বাঁচাতে না পারলে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। মাঠের ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। খালটি বাঁচাতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কদর মোল্যা চরভাটপাড়া মৌজায় একটি বালির চাতাল করেন। সেখানে তিনি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন। সেই বালির চাতালের পানি নিস্কাশনের জন্য একটা আউট লাইন করে সেটা ওয়াবদা খালের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এই আউট লাইন দিয়ে পানি এবং বালি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই খাল ভরাট হয়ে গেলে বর্ষা মৌসুমে তাদের এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ও ফসল পানিতে ডুবে যাবে। কিন্তু বালি ব্যবসায়ীরা সেই বিষয়টি না ভেবে তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে কদর চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে চেয়ারম্যানের শ্যালক পলু শেখের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এই চাতালটি বর্তমানে আমি দেখাশুনা করছি। আমাদের ভুলের কারনে ওয়াবদার খালে যে বালি পড়ে ভরাট হয়েছে সেটা দুই একদিনের মধ্যে এস্কেভেটর দিয়ে পরিস্কার করে দিব।
কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, সরকারী খাল ভরাট করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply