কালের চাকা ডেস্কঃ
গত ২৪ শে নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক জনাব আতাউল গনি এর অনুপ্রেরণায় গাংনী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা ২০২০ কে সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে উপজেলাধীন সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের সাথে উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিক্ষার্থীদের অবগত করতে ১লা ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ” নকল কে না বলি,, দিন বদলের দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশকে গড়ে তুলি ” শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা আসন্ন হওয়ায় গাংনী উপজেলাধীন প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে অতিসম্প্রতি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ” অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টি কে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন আবার অনেকেই নেতিবাচক ভাবে নিচ্ছেন “।নেতিবাচক ভাবে নেওয়া শিক্ষার্থীরা মনে করছেন সিসি ক্যামেরা তাদের মানসিক ভাবে দূর্বল করবে।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবীব তার ফেসবুক পেজে পরীক্ষা কক্ষ থেকে ইন্টারনেট ও সিসি ক্যামেরা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন এটা পরীক্ষার্থীদের মনোবল দূর্বল এমনকি প্রশ্ন ফাঁসের মতো নোংরা ঘটনাও ঘটাতে পারে।
তবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এর ব্যাপারে বেশিরভাগ অভিভাবকদের মনোভাব ইতিবাচক। তারা মনে করছেন, এই পদ্ধতিতে নকলমুক্ত থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্র।ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়নের সঠিক ফলাফল পাবে।
তবে কিছু কিছু অভিভাবক দ্বিমত পোষণ ও করেছেন।
Tariful Islam Jibon মনে করছেন “এটা শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক অত্যাচার।ডিজিটাল পদ্ধতির অপব্যবহার বলেও মনে করছেন তিনি।
Mamunur Rashid মনে করেন ক্যামেরা থাকতে শিক্ষকের দরকার কি?
সিসি ক্যামেরা স্থাপনওবিভিন্ন মহলের মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা দিলারা রহমান বলেন ” ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে এসডিজি এর বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন অন্যতম অনুষঙ্গ”।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply