নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে জ্বালানি কাঠ। কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ঢাকা-গোপালগঞ্জ বিশ্বরোডের পূর্ব পাশে জনবসতি এলাকায় আর,বি,আই নামে এ ইটভাটা অবস্থিত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ২০১৬ সালে ইটভাটা চালু করেন তারাইল গ্রামের রিপন শেখ। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুকুরিয়ার ইটভাটার মালিক সিরাজ মিয়া কৌশলে তার জামাতা রিপন শেখকে গোপালপুরের আর,বি,আই নামে ভাটা করে দেন। ইটভাটার নাম আর,বি,আই, অথচ ইটের গায়ে লেখা হচ্ছে এস,বি,আই। আবার ক্যাশ মেমোতে লেখা রয়েছে মেসার্স রুহুল আমিন ব্রিকস প্রো. ও সিরাজ মোল্লার নাম।
ইটভাটার মাঝে একটি স মিল বসিয়ে চেরাই করা হচ্ছে বনের গাছ। এসব চেরাই করা কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভাটায়। এতে ভাটার আশপাশের ফসলি জমি ক্রমাগত উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে পতিত হয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণের কারণে ওই এলাকার মানবস্বাস্থ্যও চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ ছাড়া বিশ্বরোড থেকে গোপালপুর গ্রামে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে ইটভাটার গাড়ি চলাচলের কারণে।
ইটভাটার মালিক রিপন শেখ বলেন, আগে কাগজপত্র সঠিক ছিল না। তবে বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরে ভাটার বৈধতা চেয়ে আবেদন করেছি। আবেদনের কাগজপত্র এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।
গোপালগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ইটভাটাকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলা যাবে না। অনুমোদনর জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে ভাটার কাগজপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছি।
কাশিয়ানী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাশিয়ানীতে কোনো অবৈধ ভাটা থাকবে না।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply