:
বিগত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনার পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তান্ডব চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ভাংচুর করে কর্তব্যরত নিরস্ত্র পুলিশ সদস্য কনেস্টেবল বাবলু মিয়া, নাজিম,হযরত,তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই দিনটিকে পুলিশ হত্যা দিবস হিসাবে প্রতিবছর জেলা পুলিশের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় পালন করা হয়।
এদিনটি উপলক্ষে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় ২৮ ফেব্রয়ারী শুক্রবার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আয়োজনে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন, কুরআন খানি, দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। থানা অফিসার ইনচার্জ, আব্দুল্লাহিল জামানের সভাপতিত্বে বিশষ অথিতির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল, থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) তাজুল ইসলাম, উপজেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম হাবিব সরকার, বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজা, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মন্ডল। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি সমেশ উদ্দিন বাবু, সোনারায় ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল করিম, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুল ইসলাম। এসময় জেলা পুলিশে অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ,স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেয় জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
উল্লেখিত ঘটনায় শহীদ পুলিশ সদস্যরা হলেন জেলার সাঘাটা উপজেলার খামার ধনরুহা গ্রামের খাজা নাজিম উদ্দিন, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রহমতেরচর গ্রামের তোজাম্মেল হক, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কিশামত গোবধা গ্রামের হযরত আলী ও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাবলু মিয়া। দেশের হয়ে এই চার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় মানুষরুপি কিছু জানোয়ারের হাতে প্রান হারিয়েছেন।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply