মায়ের অতি আদরের সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা কর্মীরা। ছটফট করা ছাড়া মায়ের কিচ্ছু করার নেই।
ছোট্ট ছেলেটা মায়ের দিকে ঘাঁড় বাকিয়ে তাকিয়ে হেটে চলেছে, এ্যম্বুলেন্স অভিমুখে। মায়ের হাতের রান্না, আদুরে শাসন হওতো আর নাও পাওয়া হতে পারে তার।
স্বামীর কাছে আদরের সোহাগের স্ত্রীকেও যেতে হচ্ছে আইসোলেশনে। পাশে থেকে কপালে আলতু চুমু একে দেওয়ার সামর্থটুকু্ও নেই স্বামীর।
চব্বিশ ঘন্টা এক সাথে থাকা বন্ধুটিও আজ নির্বিকার। হাত ধরে কিচ্ছু হবেনা বলার কেউ পাশে নেই আজ।
মোবাইল ফোনে ফিশফিশ করে আইলাভইউ বলা মেয়েটি আজ আইসিইউতে। ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনন থমকে গেছে কাচের চার দেয়ালে।
হাত উঁচু করে বাবার কোলে উঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া শিশুটি আজ নির্বিকার।
বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেনা পিঠে ব্যাগ ভর্তি উচ্ছল শিশু কিশোর।
চীনের পর ইতালি, ইরানের লাশের সারি চোখ ভেজাচ্ছে সকল মানব মানবীর। গুমড়ে কাঁদছে আতংকিত নগরী।
প্রচন্ড শ্বাস কষ্টে শেষ পানি টুকুও কারো কপালে জুটছেও না।
শেষ বারের মত মৃত প্রিয়জনের মুখটিও দেখা হচ্ছে না হতভাগা স্বজনদের ।
এমনকি সৎকারটুকুও!!
স্রষ্টা আপনি সহায় হোন। পৃথিবী তার সকল সন্তানকে ভালো রাখুক।
প্রধান বার্তা সম্পাদক
দৈনিক কালের চাকা।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply