বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে রবিবার রাতে ফেসবুকে লাইভ আড্ডায় মেতেছিলেন তিন সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজন।
আড্ডায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক বিষয় উঠে আসে। ভালো-মন্দ, আনন্দ-দুঃখ সবকিছুই ছিল ছিল এই আড্ডায়। এর মধ্যে বাংলাদেশের পেসার ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমানের উঠে আসার গল্প শোনান সুজন।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দলটি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুখস্মৃতি নিয়ে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একজন বাঁ-হাতি পেসারের খোঁজে ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালিন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কি হয়েছিল সেদিন, সেটি বলছেন সুজন, ‘আমি তখন বিসিবির গেম ডেভলপম্যান্টের চেয়ারম্যান ছিলাম। হাথুরুসিংহে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোনো বাঁ-হাতি পেসার আছে কি-না? আমি বললাম যে, দুই জন আছে। একজন আবু হায়দার রনি ও আরেকজন মোস্তাফিজ। আমার কথা শুনে হাথুরু জানতে চান- কে, কেমন বোলার, কার বিশেষত্ব কী? আমি বললাম রনি সুইং বোলার। আর মোস্তাফিজের বোলিংএ পেস আছে। সাথে ধারালো কাটারও আছে।
হাথুরুসিংহে আমাকে বললেন, ছেলেটাকে দেখাতে পারবে? আমি বললাম, অবশ্যই। মোস্তাফিজ তখন সাতক্ষীরাতে। আমি মোস্তাফিজকে ফোন করে, দ্রুত ঢাকায় আসতে বলি।
ঢাকায় এসে পরদিন, নেটে বোলিং করল। হাথুরুসিংহে তাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল। এরপর বললেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেলবে মোস্তাফিজ। আর এভাবেই মোস্তাফিজের পথচলা শুরু হলো।’
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-২০ ম্যাচে দলে সুযোগ পান মোস্তাফিজ। অভিষেকেই চমক দেখান তিনি। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ‘দ্য ফিজ’। পাকিস্তানের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ও সাবেক দলনেতা মোহাম্মদ হাফিজ ছিলেন মোস্তাফিজের শিকার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আশানুরুপ পারফরম্যান্সের পরের সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে নিজে জাত চেনান ফিজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৫টি, দ্বিতীয়টিতে ৬টি ও শেষটিতে ২টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এরপর থেকে বাংলাদেশ পেস অ্যাটাকের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠেন মোস্তাফিজ।
(ঢাকাটাইমস/১১ মে/এসইউএল)
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply