ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অভিযানের দ্বিতীয় দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বেশ কিছু ভবন মালিক ও প্রতিষ্ঠানকে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিও পরিষ্কার করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ডেঙ্গু দমনে ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে মোট আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসব বিভিন্ন ভবন ও প্রতিষ্ঠান ঘুরে ডেঙ্গু প্রজনন উপযোগি পরিবেশ পাওয়ায় দোষীদের জরিমানা করেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
সোমবার ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হাকিম উত্তরা ৩ ও ৫ নম্বর সেক্টরে মোট ১০টি বাড়ি, ভবন, প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে ৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভবন মালিকদের মোট এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ডিএনসিসির মশককর্মীরা সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করে মশার লার্ভা ধ্বংস করে। এছাড়া কয়েকটি বাড়িতে জমে থাকা পানি ও ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেলে সেগুলো পরিষ্কারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়।
করপোরেশনের অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম মিরপুরের পল্লবী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ২৫টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মহাখালী এলাকায় মোট ১৯টি অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে আরও ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে।
শেওড়াপাড়া, কাফরুল ও শ্যামলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৪) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ। এসময় প্রায় ২৫টি বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। তবে সেখানে এডিস মশার কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুরশিদুল ইসলাম কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি সেখানে বাড়ি, ভবন ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের এডিস মশা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সচেতন করেন।
বসিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবনে পানি ও ময়লা-আবর্জনা শনাক্ত হলেও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফলে ভবন মালিকদের সতর্ক করে ভ্রাম্যামাণ আদালতের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে জায়গাগুলো পরিষ্কার করা হয়।
অঞ্চল-৬ (হরিরামপুর) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ২০টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। কয়েকটি বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকলেও কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। পানি অপসারণ করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া অভিযান চলাকালে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ আশকোনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে দুটি বাড়ির মালিককে দুই হাজার টাকা করে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির ভ্রাম্যামাণ আদালত আগামীকালও অব্যাহত থাকবে বলে করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১মে/কারই/জেবি)
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply