নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজে গত ১ সপ্তাহ ধরে কিট সংকট চলছে। এ কয়দিন অল্প সংখ্যক কিট দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে যেগুলো না করলে নয়, সে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছিল। গত ২ দিন আগে কিট ফুরিয়ে যাওয়ায় নমুনা পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাবের প্রধান সমন্বয়কারী এবং স্বাচিপ নেতা ডা. ফজলে এলাহী খাঁন জানান, গত সপ্তাহ থেকে প্রয়োজনীয় কিটের স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ঢাকায় যোগাযোগ করলে তাদেরকে কিট দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত না পেয়ে কিট ছাড়াই হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন তারা।
আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাব প্রধান ডা. দিপন মজুমদার জানান, তারা প্রতিদিন ২ শিফটে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করলে সপ্তাহে তাদের প্রয়োজন প্রায় ২ হাজার কিট। গত ১১ মে থেকে এ ল্যাবে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা রয়েছে ১ হাজার ১ শত ৪০টি। এ ল্যাবে নোয়াখালী ছাড়াও ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
এদিকে, নমুনা জমে থাকার ফলে, বড় ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে। কারণ, যারা সম্ভাব্য আক্রান্ত হয়েছেন, তারা না জানার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না এবং তারা লোকালয়ে জন সংস্পর্শে থাকছেন। ফলে, ছড়িয়ে পড়ছে এ সংক্রমণ। অন্যদিকে, গুরুতর অসুস্থ অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, কিট দ্রুততম সময়ের মধ্যে নোয়াখালী আনার বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম থেকে কিছু কিট আনা যায় কিনা সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যদি কিট না পাওয়া যায়, তাহলে যেগুলো জরুরি সেগুলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তাদের ওপর চাপ বেড়েছে। তারা আগে দুই শিফটে পরীক্ষা করলেও এখন চার শিফটে ৩৬০ থেকে ৩৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করছেন।
Leave a Reply