ভারতের দেহরাদুনগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনে সোমবার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটিতে ভ্রমণকারী এক যাত্রী করোনা পজিটিভ জানার পর এই আতঙ্ক শুরু হয়। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।
ঋষিকেশের শ্যামপুর এলাকার ৪৮ বছরের এই বাসিন্দা দিল্লির নয়দার একটি ব্যাটারি কারখানায় কাজ করছেন। রবিবার সন্ধ্যায় গাজিয়াবাদ থেকে ট্রেনে উঠেন তিনি। ভ্রমণের মাঝপথে তিনি মোবাইলে ক্ষুদে বার্তায় জানতে পারেন তিনি করোনা পজিটিভ। নয়দাতে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
করোনা পরীক্ষার ফল জানার পরই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন দিয়ে কোভিড-১৯ কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করেন ওই যাত্রী। তবে বগিতে থাকা অন্য যাত্রীরা বিষয়টি জানতে পেরেছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তার কাছ থেকে দূরে সরে যান। অনেক যাত্রী ক্ষোভও প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানার আগেই কীভাবে ওই যাত্রীকে ট্রেনে চড়তে দেওয়া হলো।
সরকারি রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) হারিদ্বার স্টেশন হাউস কর্মকর্তা অনুজ সিং বলেন, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে যে ব্যক্তির কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা তিনি কীভাবে ট্রেনে চড়ার অনুমতি পেলেন।
জিআরপি কর্মকর্তা আরও জানান, ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন কোম্পানির কারখানায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন জাগছে, কেন তাকে কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভ্রমণের অনুমতি দিলো। কারণ ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. সরোজ নাইথানি জানান, ওই যাত্রীকে কোভিড-১৯ আইসোলেশন কেন্দ্র মেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির বগিতে থাকা সহযাত্রীদের সরকারি কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জিআরপি সদস্যরা এক যাত্রীর করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগকে। খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে একটি টিম রেল স্টেশনে যায়। ওই বগির সব যাত্রীই হরিয়ানা ও রাজস্থানের। তাদেরকে হরিদ্বারের মহেশ্বরি সেবা সদনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮০ জনের।
Leave a Reply