আলফাডাঙ্গায় আঙ্গুর চাষ।।
রিয়াজ মুস্তাফিজ
অনেকটা শখের বসে এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী বাজার থেকে একটা আঙ্গুরের চারা গাছ কেনেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের মজনু মিয়া।
গাছ রোপণের আগে জৈবসার ও খরার সময় একটু একটু করে পানি দেন তিনি। আর এভাবেই দিনের পর দিন সযত্নে বড় হতে থাকে আঙ্গুর গাছটা। থোড়া থোড়া আঙ্গুর গাছের ফল দেখে অবাক হয়ে যায় তার পরিবারের সবাই।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত গ্রাম। আঙ্গুর গাছ ও তার ফল দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছে শত শত মানুষ। এক প্রশ্নের জবাবে মনজু মিয়া বলেন,”গাছ কিনে আনার পর থেকে আমি নিয়মিত গাছের যত্ন নিতাম এবং একটু বড় হওয়া পর মাচাং করে দেই”।
আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা গ্রামের আক্তার মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া আরও বলেন,”বিভিন্ন ফুল ফলের চাষ করা আমার শখ কিন্তু আমার জায়গা জমির অভাবে শখ থাকার পরেও সম্ভব হয় না। তার ইচ্ছা আঙ্গুরের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা। বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও হেলেঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর ওহাব (পান্নু মিয়া) বলেন,”আমাদের গ্রামের আঙ্গুরের চাষ হয়েছে, এর জন্য আমার খুব ভালো লাগছে তবে বাণিজ্যিকভাবে করা হলে আরও ভালো লাগতো”।
কৃষিবিদ আত্তাব উদ্দিন মাহামুদ বলেন,” এ অঞ্চলের মাটি আঙ্গুর ও মালটা চাষে কিছুটা অনুপযোগী তবে চাষাবাদ করা যায়”। বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর বা মালটা চাষের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন,” মাটির গুণাগুণ আঙ্গুর চাষের কিছুটা অনুপযোগী থাকার কারণে বাণিজ্যিকভাবে সফলতার সম্ভবনা কম”।
তবে,মনজু মিয়া থেমে থাকার পাত্র নন। তিনি মালটা ও আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিবেদককে।
মনজু মিয়া বাড়িতে আঙ্গুর চাষের খবর শুনে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply