দখলকৃত পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যকায় বসতি সম্প্রসারণে ইসরায়েলের একপাক্ষিক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জেরিকো এলাকায় বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। সোমবারের এই বিক্ষোভে যোগ দেয় বেশ কয়েকজন বিদেশি কুটনীতিক। এদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি স্ভেন কুহেন ভন বার্গসড্রোফ। এছাড়া যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জাপান ও জর্ডানের কূটনীতিকরাও বিক্ষোভে যোগ দেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ঘোষিত পরিকল্পনার আওতায় জর্ডান উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
সোমবার ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সম্প্রসারণ পরিকল্পনা যদি এগিয়ে নেওয়া হয় তাহলে শান্তি এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মৃত্যু হবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বাস করে এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে ম্লাদেনভ বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ হতাশ হবেন না… অহিংসার পথ থেকে সরে যাবেন না। আপনারা বাড়ি ভাড়া নেননি, এটা আপনাদের বাড়ি। স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য থেকে দৃষ্টি সরাবেন না।’
বিক্ষোভে ইইউ প্রতিনিধি ভন বার্গসড্রোফ জানান ইসরায়েলের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা চ্যালেঞ্জহীনভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইইউ প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের জোট দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাবে।
Leave a Reply