লিবিয়ায় একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠন করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সম্প্রতি আবিষ্কৃত গণকবরে যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকতে পারে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইঙ্গিত দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার বিশ্ব সংস্থাটির মানবাধিকার কমিশন লিবিয়ায় সব ধরণের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠন করতে কমিশনের প্রধান মিশেল ব্লাচেটের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই অস্থির হয়ে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদক দেশ লিবিয়া। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে কার্যকর রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতারের সরকারটিও বেশ কয়েকটি দেশের সমর্থন পাচ্ছে।
সম্প্রতি লিবিয়ার বিভিন্ন কারাগার ও আটক কেন্দ্রে নির্যাতন ও যৌন হয়রানির খবর সামনে আসে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে এসব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বিশেষজ্ঞরা ২০১৬ সাল থেকে লিবিয়ার বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঘটনা নথিবদ্ধ করবেন।
জেনেভায় নিযুক্ত লিবিয়ার জাতিসংঘ দূত তামিম বাইয়ু বলেছেন, এই প্রস্তাব পাস ভবিষ্যতের উন্নত লিবিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
Leave a Reply