করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য চিকিৎসা শনাক্ত করতে এবার বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করতে যাচ্ছে জাপান। ২০১১ সালের পর এ সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে ছাপিয়ে কম্পিউটার প্রসেসিং দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছেছে দেশটি।
এর ফুগাকু সুপার কম্পিউটারটি যুক্তরাষ্ট্রে ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির নির্মিত সামিট সিস্টেমের তুলনায় ২ দশমিক ৮ গুণ বেশি গতিবেগে চার হাজার ১৫৫ কোয়াড্রিলিয়ন গণনা সম্পাদন করতে পারে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোবে-র একটি সরকার-সমর্থিত গবেষণা ইনস্টিটিউট রিকেন এবং জাপানি প্রযুক্তি জায়ান্ট ফুজিৎসু-র মাধ্যমে গত ছয় বছরে এই সুপার কম্পিউটারটির উন্নয়ন করা হয়েছে। ফুগাকুতে দেড় হাজার উচ্চ-পারফরম্যান্সমৃদ্ধ প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে এবং তারা সপ্তাহে কয়েক হাজার পদার্থ পরীক্ষা করতে পারে।
নিয়মিত কম্পিউটারের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশি গতিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার পারমাণবিক বিস্ফোরণের অনুকরণ, ভার্চুয়াল অস্ত্র পরীক্ষা এবং মডেল জলবায়ু সিস্টেমে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিক্কির ব্যবসায়িক সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পপ্রবণ জাপানে ফুগাকু সুপার কম্পিউটার ভূমিকম্প ও সুনামির প্রভাবের নমুনাও তৈরি করবে।
আগামী বছরের আগ পর্যন্ত অবশ্য ফুগাকু পুরোপুরি কার্যকর হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, ১৩০ বিলিয়ন ইয়েনের (১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার) এই সুপার কম্পিউটার প্রায় দুই হাজার ওষুধের মধ্যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এসব ড্রাগের মধ্যে এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে পৌঁছায়নি এমন ওষুধও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রিকেন-এর সেন্টার ফর কম্পিউটেশনাল সায়েন্স-এর প্রধান সাতোশি মাৎসুওকা। তিনি বলেন, আমি আশা করি ফুগাকু-র জন্য তৈরি করা কাটিং এজ প্রযুক্তি কোভিড -১৯ এর মতো কঠিন সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলোর বড় ধরনের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
Leave a Reply