ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার অন্যতম ‘রত্নগর্ভা মা’ মোছাম্মৎ ফুলজান বেগম চিরবিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আজ সোমবার ৬ জুলাই সকাল ৯:৩০ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেন তিনি । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
তিনি ডায়াবেটিস সহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমাকে মিঠাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।এই মহামারী বিপর্যয়ের মধ্যেও ভালবাসার টানে জানাজায় স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বার বার নির্বাচিত আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য(মেম্বার) জনাব রোকন উদ্দিন শেখ(রোকন মিয়া’র) সংসার আলোয় আলোয় ভরে দেয়ার নেপথ্য কারিগর, পরহেজগার এবং মানবিক মানুষ মোছাম্মৎ ফুলজান বেগম আট পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের জননী। দশ সন্তানের ‘নয়নের মণি’ হিসেবে জীবন অতিবাহিত করা এই মা প্রকৃত রত্নগর্ভা ছিলেন। উনার ১০ সন্তানের প্রত্যেকেই শিক্ষিত, এলাকার গর্ব। যশ ক্ষমতা সবই খুব কাছ থেকে দেখলেও অতি নিরহংকারী এই মানবী ছিলেন মাটির কাছাকাছি। নিজ এলাকা এবং ধারেকাছের মানুষদের প্রতি অগাধ মমত্বের লালন করতেন।
বড় ছেলে শেখ মোঃ নুর ইসলাম, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক,মেঝো ছেলে শেখ দেলোয়ার হোসেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক,সেজো ছেলে শেখ মোঃ ওমর আলী আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,বর্তমান দুবাই প্রবাসি।শেখ মোঃ ওবায়দুর রহমান,বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
শেখ মোঃ কামরুল ইসলাম,আলফাডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।শেখ মোঃ আকমল হোসেন বিজিবিতে কর্মরত, শেখ শেখ মোঃ নুর আলম,পুলিশে কর্মরত,শেখ আমজাদ হোসেন জুয়েল,আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগ নেতা,বর্তমানে সোনারগাঁও কলেজে অধ্যায়নরত।
দুই মেয়ে বিবাহীত স্বামী সংসারে সুপ্রতিষ্ঠিত।
মা যেন সন্তানদের চোখের মণি। মাকে ভালোবাসা এমনকি ভাত খাইয়ে দেয়ার জন্যও সন্তানদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো এই সংসারে। আলোয় আলোয় ভরে থাকা সেই সংসারটি আজ থেকে মায়ের ছায়া হারিয়ে ফেললো।মা’হীন হয়ে যাওয়ার কষ্টের কথা বলতে গিয়ে শুধু মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন সন্তানেরা।
মৃত্যুকালে তিনি নাতীনাতনী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply