।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ স্বামীর কেনা জমির উপর বাড়ির দখলমুক্ত করতে পুলিশ সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী ফারুক মৃধার স্ত্রী মদিনা বেগম। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পৌরসদরের চৌরাস্তায় চৌধুরী মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা ক্যাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মদিনা বেগম লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বোয়ালমারী পৌরসদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামে তার স্বামীর নিজস্ব মালিকানাধীন তিনতলা বাড়িতে বসবাস করেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিনি বাড়ি ভাড়া আদায়সহ সকল কার্যক্রম তিনি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রায় তিনমাস আগে মদিনা বেগম পিতার বাড়িতে থাকার সুযোগে বোয়ালমারী উপজেলার রেনিনগর গ্রামের মানিক শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম (বর্তমানে শিবপুর এলাকায় বসবাসকারী) ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট তালা ভেঙ্গে দখলে নেয় এবং মেয়ে সাথি আক্তারসহ বসবাস শুরু করে। এ বিষয়ে মদিনা বেগম স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিলে এসআই পলাশ কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। কিন্তু এ ঘটনার কোন সমাধান এখনো হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় নভেম্বর মাসের প্রথমদিকে মদিনা বেগম পিতার বাড়িতে বেড়াতে গেলে আলেয়া বেগম তাকে মোবাইল ফোনে (০১৭৮১৯৬৮৪৭৯) ফোন করে এই ভবনে আসতে নিষেধ করেন। বাড়িতে আসলে তাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। তারপরও তিনি ১০ নভেম্বর স্বামীর বাড়ি দক্ষিণ শিবপুরের বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার তিনতলার ফ্ল্যাটে অন্য তালা লাগানো। তালা ভাঙতে গেলে আলেয়া বেগম বাধা দেয়। এ ঘটনা তিনি তার স্বামীকে বললে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। এ ঘটনায় মদিনা বেগম গত ১০ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দুই পক্ষকেই থানায় বসে বিষয়টি মিমাংসার সময় দেন একপক্ষ উপস্থিত হলেও অজানা কারনে বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে তিনি জানান, এর ফলে তিনি চরম হতাশা ও আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেই থেকে মদিনা বেগম নিজের ফ্ল্যাটেও ঢুকতে পারছে না। সে এখন শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রামের পিতার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে আলেয়া বেগম বাড়ি দখল করার বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, বাড়ির মালিক ফারুক মৃধার সাথে তার মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়েছে। এ জন্য সাথী তার স্বামীর বাড়িতে উঠেছে। বাড়ি দখল করার অভিযোগ সত্য নয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার এসআই পলাশ কুমার দাস বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকা সাথী আক্তার ফারুককে তার স্বামী দাবি করছে।সেই সুএে সে বাড়িতে উঠেছে বলে সাথী জানান। উল্লেখ্যঃ সাথী আক্তারের স্বামী, সন্তান, রয়েছে বলে মদীনা বেগম জানান।
চলবে…………
© All rights reserved 2000-2023 © kalerchaka.Com
Leave a Reply