প্রসীদ কুমার দাসঃ- ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৪নং টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্বে ২০ নং তিতুরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপি বর্ষবরণ মেলা শুরু হয়েছে।
বৈশাখ মানেই বাঙালির প্রাণে নবজাগরণ বৈশাখ মানেই পুরানো দিন ভূলে নতুন করে বর্ষবরণ। বৈশাখ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। নতুন বর্ষকে বরণের পাশাপাশি উৎসবকে পরিপূর্ণতা দেয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা বাঙালিদের যুগযুগের প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার।
নববর্ষের আগমনে তাই প্রতি বছর নববর্ষের দিন এবং নববর্ষের পরের দিন হাজার হাজার লোকের মিলন মেলা বসে এই মেলা কে ঘিরে।
টগরবন্দ ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ প্রতিটি বছর অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে কবে আসবে নববর্ষ। নববর্ষের এই মেলা তাদের মনকে আনন্দে আত্মহারা করে তোলে।
শুধু টগরবন্দ নয় কাশিয়ানী, ভাটিয়াপাড়া, মালা, বড়ভাগ, টিঠা এলাকার লোকজন ও পহেলা বৈশাখের এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকে।
বারাশিয়া নদীর পাড় ঘেষে মেলা উপলক্ষে বসেছে হরেক রকমের জিনিসের দোকানপাট। মেলায় হরেক রকমের জিনিস সাজিয়ে বসে আছে দোকানিরা।
তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে খই, মিষ্টি, বাতাসার দোকান, হাওয়াই মিঠাইয়ের দোকান, মুড়ি চানাচুরের দোকান, রঙিন চুড়ি ফিতার দোকান, মাটির পুতুলের দোকান, তৎসঙ্গে মেলায় আরও হরেক রকম জিনিসের পসরা সাঁজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা।
মেলা সম্পর্কে স্থানীয় কয়েক জন বলেন, এখন আর মেলা আগের মত করে মেলে না। বৈশাখী মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে গ্রাম থেকেই। আর এখন গ্রাম থেকে দিনে দিন বিলুপ্তপ্রায় হয়ে যাচ্ছে বৈশাখী মেলা।
তাঁরা আরো বলেন, পূর্বে এ মেলায় পালাগানসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। আর নাগরদোলার আকর্ষণই তো ছিলো আলাদা। গ্রামের মানুষগুলো বছরের শুরুতে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো কিনতো এই মেলা থেকেই। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে চলতো ব্যাপক হৈচৈ-আনন্দ।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply