কাশিয়ানি উপজেলার ইয়ার আলি খান ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রি অপহরনের ১ মাস পর হলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ কারণে পরিবারের মধ্যে মারাত্মক হতাশা বিরাজ করছে। ছাত্রীর মা মেয়েকে হন্য হয়ে খুজে ও কুল কিনার করতে পারছেন না। সারাদিন মেয়ের জন্য আহাজারি করছে।
অপহৃতা স্কুল ছাত্রী মা মামলার বাদিনী ফাতেমা বেগম জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আড়পাড়া গ্রামের হারুন শেখের কন্যা ইয়ার আলি খান ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রি নাইস আক্তার (১৭) সকাল অনুমান ১১টায় মায়ের সাথে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বের হলে হোগলা কান্দি ব্রিজ থেকে চকবন্দলা গ্রামের নূর ইসলাম তালুকদারের বখাটে ছেলে আসিক তালুকদার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে জোর পূর্বক অটোবাইকে করে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে কাশিয়ানি থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। অপহরনের ২ মাস ১০ দিন পরেও পুলিশ অপহৃতা স্কুলছাত্রি পপি আকতারকে উদ্ধার করতে পারেনি। মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে পরিবারে মারাত্তক হতাশা বিরাজ করছে। ছাত্রির মা মেয়েকে হন্য হয়ে খুজে ও কুল কিনার করতে পারছেন না। সারাদিন মেয়ের জন্য আহাজারি করছেন।
এ ব্যপারে ছাত্রীর মামা সেলিম হোসেন বলেন, রবিউল তালুকদার, রেজাউল তালুকদার, সাকিব শেখ ও হাসিব শেখ এদের সহযোগিতায় নুর ইসলাম তালুকদারের বখাটে ছেলে আসিক আমার ভাগ্নিকে অপরন করে নিয়ে গেছে। এরপূর্বে ও একাধিকবার তাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করিয়া আসিছিল। গত ১ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই ও আমার ভাগ্নিকে ফেরৎ চাই।
কাশিয়ানি থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি এই বিষয় নিয়ে এডিসনাল এসপি মিডিয়া তাহার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন ।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply