দেশে সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এই দাবি করেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সভায়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন (ঐজড) বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বাহিনীর ডিটেকটিভ ব্যাঞ্চকে দায়ী করে ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
সভা মনে করে, বাংলাদেশে এই অনির্বাচিত ফ্যাসিট সরকার অবৈধ ক্ষমতা আকড়ে রাখার জন্য বেআইনিভাবে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চায়। ইতোপূর্বে র্যাব বাহিনীকে অবৈধ ও বেআইনিভাবে ব্যবহার করার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে, যা জাতির জন্য লজ্জাজনক। সভা, অবিলম্বে এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ দতন্ত দাবি করে এবং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিরমূল করবার অবৈধ কাজে ব্যবহার না করবার আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, সভায়, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংম্বলিত একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায়, চলতি বছরে জ্বালানি পণ্যে সবধরনের ভর্তুকি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম একলাফে ২৬৬ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা; ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা; অন্যদিকে এক মাস পার হওয়ার আগেই আবারও খুচরা এবং পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ বিষয়ে অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ সম্মেলন, সেমিনার এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন,সম্প্রতি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আয়োজনে খসড়া তথ্য সংরক্ষণ আইন বিষয়ে আলোচনায় এই আইন প্রণয়ন করা হলে মার্কিন ব্যবসায়িরা ব্যবসা ছেড়ে চলে যাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে এই প্রস্তাবিত আইন স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মুক্ত ব্যবসায় পরিপন্থি। বেআইনি, কর্তৃতবাদী সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সরকার একের পর এক নিবরর্তনমূলক আইন প্রনয়নের মাধ্যমে দেশকে পুরোপুরি ফ্যাসিট রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, সভায় এ বিষয়ের ভয়াবহতা জনগণের সামনে উন্মোচন করার জন্য একটি সার্বিক তথ্য সংম্বলিত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে এই সংবাদ সম্মেলনের খসড়া তৈরি করার দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply