‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারে’র অভিযোগে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজুল হকসহ তিন আইনজীবী। অন্য দুজন হলেন-আইনজীবী মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলম।
আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন আমরা হাতে পেয়েছি।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। ৮ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।
একই সঙ্গে আদালত অবমাননার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন আদালত।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের এই তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে চিঠি পাঠান নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) গোলাম সারোয়ার।
অভিযোগের ওই চিঠি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর একটি মামলায় আত্মসমর্পণ পর এক আসামির জামিন নামঞ্জুর, অপর আসামির জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এবং কারাগারে থাকা অন্য আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার। এরপর এই তিন আইনজীবী এবং তাদের সহযোগীরা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে গালাগাল এবং বিচারকের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় হতাশ, বাকরুদ্ধ, মর্মাহত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত বোধ করায় এবং নিরাপত্তাহীনতাসহ লাঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
পরে চিঠিটি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। এরপর প্রধান বিচারপতি চিঠিটি বিচারের জন্য হাইকোর্টে পাঠান।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply