সবুজ পাতার মাঝে মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুল। সামান্য বাতাসেই দোল খাচ্ছে ফুলগুলো। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে দলে-দলে আসছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। পাহারাদার রেখেও দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হলুদ রঙের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ পরে কেউ তুলছেন ছবি। কেউবা খোপায় হলুদ ফুল গুজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাগানের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। শিশুরাও মেতেছে আনন্দে।
মেহেরপুর সদর উপজেলায় আমঝুপি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) খামারে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর জুড়ে নানা ধরনের সবজির বীজ উৎপাদন হয়ে আসছে আমঝুপি বিএডিসির এ খামারে। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণে চাষের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষ। চার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে তৈলবীজ। কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকের বদৌলতে কৃষি খামারটি ফুলপ্রেমীদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
জেলার আশপাশের কয়েক জেলার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন এ সূর্যমুখী বাগানে। পরিবার পরিজন, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ কিছুটা বিনোদনের জন্য ছুটে আসছেন এখানে। পিছিয়ে নেই ভিডিও তৈরি করা টিকটকাররাও।
সেলফি তুলতে আসা মেহেরপুর সদরের লাইলি খাতুন ও মজনু হোসেন বলেন, লোকমুখে শুনেছি এখানে সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত আছে। তাই লোভ সামলাতে না পেরে এখানে ছবি তুলতে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তোলা ছাড়াও ঘোরাঘুরি করছি। বেশ ভালোই লাগছে। একই কথা জানালেন গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী রিনা ও রিয়া খাতুন।
টিকটকার রাফিউল জানান, এর আগে সূর্যমুখী ফুলের নাম শুনেছেন কিন্তু দেখেননি। ফেসবুকে এ বাগান দেখেছেন। অবশেষে বাগানে এসে বেশ ভালো লাগছে তার।
আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের পাহারাদার আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয় এ ফুল বাগানে। পাঁচজন পাহারায় থেকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফুল ফোটার আগ থেকেই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় লেগে থাকে। তারা একটু বিনোদনের জন্য এখানে আসেন। অনেক সময় ভেতরে ঢুকে সেলফি ও ছবি তোলার কারণে ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে।
মেহেরপুর আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের উপ-সহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার জাগো নিউজকে বলেন, সূর্যমুখীর এ বীজ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বিদেশেও রপ্তানি হয়। সূর্যমুখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিনোদনের জায়গা কম থাকায় বাগানটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। এখানে এসে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সূর্যমুখী চাষে।
© All rights reserved 2000-2025 © kalerchaka.Com
Leave a Reply